শৈশবের স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে সাইফউদ্দিন
খানিকটা চমকে দিয়েই ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের আগে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ম্যাচটিকে ঘিরে দল এবং তার নিজের পরিকল্পনা ও লক্ষ্যের কথা যেমন তিনি তুলে ধরেন, সেই সঙ্গে জানান ব্যক্তিগত একটি ভালো লাগার বিষয়ও।
ভারতের বিপক্ষে খেলার স্বপ্নটা সাইফউদ্দিনের ছেলেবেলার। শৈশবের সেই পরম আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে এই বাঁহাতি পেস অলরাউন্ডার। মঙ্গলবার (২৮ মে) কার্ডিফে প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। আর এ ম্যাচে সাইফউদ্দিনের মাঠে নামাটা অবধারিত।
১৩ ওয়ানডে খেলা সাইফউদ্দিন ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যদি আমি খেলি, তবে ভারতের বিপক্ষে এটি হবে আমার প্রথম ম্যাচ। তাদের বিপক্ষে খেলার স্বপ্নটা আমার শৈশব থেকেই রয়েছে।’
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে লেগেছিল সাইফউদ্দিনকে। ২০১৭ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার তার এক ওভারে হাঁকিয়েছিলেন পাঁচ ছক্কা! তবে ক্রমেই নিজেকে প্রমাণ করছেন তিনি। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছেন বাংলাদেশের পেস আক্রমণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে।
সবশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজের দিকে নজর দেওয়া যাক। ৩ ম্যাচ খেলে ওভারপ্রতি মাত্র ৪.৯৫ গড়ে রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন সাইফউদ্দিন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, প্রতিটি ম্যাচেই ডেথ ওভারে বোলিং করেছেন এই ডানহাতি পেসার।
বল হাতে এই উন্নতির দিকটা আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে সাইফউদ্দিনকে, ‘ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সম্ভবত আমার ডেথ বোলিংটা সেরা মানের ছিল না। কিন্তু দিনে দিনে আমি এই ক্ষেত্রে ভালো করছি। বিশ্বকাপের মতো বড় প্রতিযোগিতায় নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা করব।’
লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতেও কার্যকর হয়ে উঠছেন সাইফউদ্দিন। ৭ ইনিংসে ১ ফিফটি ও ২৯.১৬ গড় তার ব্যাটিং সামর্থ্যের স্বাক্ষর রাখে। আর ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে যেহেতু ব্যাটিং-বান্ধব ফ্লাট উইকেট থাকবে, তাই এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের কাছে ভালো কিছু ইনিংসের প্রত্যাশা থাকবে বাংলাদেশ দলের।
সেই দাবি মেটাতে সাইফউদ্দিনও মুখিয়ে আছেন, ‘যদি ইনিংসের ৪০ ওভারের পর উইকেটে যাই, তবে পেসারদের মোকাবেলা করতে হবে। আর গত সিরিজগুলোর দিকে তাকালে বোঝা যায়, এখানকার উইকেটও ব্যাটিংয়ের উপযোগী। এখানে ব্যাটিং করাটা তুলনামূলক সহজ।’
Comments