মেঘনা ও গোমতী সেতু খুলে দেওয়ায় স্বস্তি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা অংশের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক জুড়ে যানজটের সেই চেনা রূপটি এখন আর দেখা যাচ্ছে না। এই মহাসড়ক দিয়ে যেসব যাত্রী কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী এবং চট্টগ্রামে যাতায়াত করেন তাদের চোখে মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে।
Munshiganj
দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু খুলে দেওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে। ছবি: স্টার

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা অংশের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক জুড়ে যানজটের সেই চেনা রূপটি এখন আর দেখা যাচ্ছে না। এই মহাসড়ক দিয়ে যেসব যাত্রী কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ফেনী এবং চট্টগ্রামে যাতায়াত করেন তাদের চোখে মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে।

যাত্রীরা নির্বিঘ্নে, আরামে এবং সময় মতো পৌঁছাতে পারছেন বলেই তাদের মনে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং তারা ভীষণ খুশি! এদিকে গতকাল (২৭ মে) বিকালে সরেজমিন দেখা যায়, মেঘনা এবং মেঘনা-গোমতী সেতু দুটি উদ্বোধনের পর মহাসড়কের দৃশ্যপট অনেকটাই পাল্টে গেছে।

এক সময় এই মহাসড়কের গজারিয়া অংশে সপ্তাহে ৪/৫ দিন যানজট লেগেই থাকতো। সেখানে সেতু দুটি উদ্বোধনের পর চারলেনের সেতুগুলো খুলে দেওয়ায় আসা-যাওয়া উভয় লেনে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে পারছে। ফলে মহাসড়কের এই অংশে তীব্র যানজটের কারণে আর কোনও যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না।

গত ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দুটি উদ্বোধন করেন। স্থানীয় সূত্র মতে, জাতীয় এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজারেরও বেশি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। আর বিপুল সংখ্যক যানবাহন মেঘনা-গোমতী ও মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা অতিক্রম করায় যানজটের মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের। প্রতিদিনের যানজটের কারণে মহাসড়কটি মহাভোগান্তিতে রূপ নিয়েছিলো বিগত বছরগুলোতে।

গাড়িচালক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, “চারলেনের এই সেতু চালু হওয়ার ফলে আমরা ও যাত্রীরা যানজটের অসহ্য ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছি।” কুমিল্লার যাত্রী মো. আবুল হোসেন বলেন, “এ সড়কে যানজটের ভয়েই ঢাকায় থেকে অফিস করতে হয়। আশা করছি এখন প্রতিদিন বাড়ি থেকে অফিস করতে পারবো।”

নোয়াখালীর গাড়ির চালক শামীম শিকদার জানান, “এই মহাসড়কে প্রতিদিন যারা যাতায়াত করেন তারাই বোঝেন যানজট কতো কষ্টকর! ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে চরম ভোগান্তি সহ্য করতে হয়েছে। আবার বন্ধের দিনগুলোতে আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে যানজট।”

নিয়মিত যাত্রী ওয়াজকরণী বলেন, “আগে ফেনী থেকে ৪/৫ ঘণ্টায় ঢাকায় যাওয়া যেতো। গত ৫/৬ বছর ধরে যানজটের কারণে তা ৮/১০ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছিলো। এখন সেখানে মাত্র সময় লাগছে ৩/৪ ঘণ্টা। সত্যিই অবাক লাগছে, অনেক ভালো লাগছে!”

গজারিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, “দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী সেতু দুটি উদ্বোধন হওয়ার পর মহাসড়কের গজারিয়া অংশে যানজট শূন্যের কোঠায়। আশা রাখি, কোনও সমস্যা হবে না।”

“ঈদ উপলক্ষে আমাদের অনেক ভালো প্রস্তুতি নেওয়া আছে” উল্লেখ করে তিনি জানান, “আগামী ২৯ মে আমাদের ব্যাটালিয়ন থেকে অতিরিক্ত ফোর্স আনাচ্ছি। আশা রাখছি এবার ঈদে খুব একটা সমস্যা হবে না।”

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago