নুসরাত হত্যা: ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে চার্জশিট

ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চার্জশিট চূড়ান্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
feni madrasa studnet
আগুনে পোড়া ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চার্জশিট চূড়ান্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আজ (২৮ মে) নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান ও পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার বলেন, “আমরা ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট চূড়ান্ত করেছি এবং আগামীকাল সেটি ফেনীর আদালতে উপস্থাপিত হবে।”

তিনি আরও বলেন, “নুসরাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে চূড়ান্ত চার্জশিটে ১৬ জনের প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে।”

পিবিআই প্রধান জানান, ইতিমধ্যে এই ১৬ জনের মধ্যে ১২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ৭২২ পৃষ্ঠার চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে মোট ৯২ জনের নাম রয়েছে।

চার্জশিটে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- এস এম সিরাজ উদ দৌলা (৫৭), নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ কাউন্সিলর (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন (১৯), হাফেজ আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে চম্পা/শম্পা (১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন ওরফে মামুন (২২), মোহাম্মদ শামীম (২০), রুহুল আমিন (৫৫) এবং মহিউদ্দিন শাকিল (২০)।

উল্লেখ্য, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় গত ৬ এপ্রিল মাদরাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর, ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।

আরও পড়ুন:

নুসরাতের ভিডিও ওসি মোয়াজ্জেম নিজেই করেছিলেন

সোনাগাজীর সাবেক ওসির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

13h ago