ঈদের চাপ সামলাতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় থাকবে আরও ৩ ফেরি
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে ঈদে যাত্রী ভোগান্তি কমাতে প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঈদে অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে এই নৌপথে যুক্ত হচ্ছে আরও তিনটি ফেরি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যানবাহন পারাপারে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৭টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে নয়টি রো রো (বড়), সাতটি ইউটিলিটি (মাঝারি) এবং একটি কে-টাইপ (ছোট)। তবে রো রো ফেরি ভাষাশহীদ বরকত স্থানীয় ভাসমান কারখানায় মেরামতে থাকায় বর্তমানে ১৬টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছে।
এই পথে পদ্মা নদী পারাপারের মাধ্যমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ রাজধানীতে যাতায়াত করেন। স্বাভাবিক সময়ে ফেরি দিয়ে প্রায় আড়াই হাজার যানবাহন পারাপার করা হয়। তবে ঈদে পারাপার হওয়া যানবাহনের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় আট হাজার। এই বাড়তি যানবাহন ও যাত্রীদের পারাপারে আরও তিনটি ফেরি যুক্ত করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে রো রো ফেরি শাহ জালাল এবং বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এবং কে-টাইপ কুসুম কলি। নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ড থেকে এসব ফেরি আনা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে একটি রো রো এবং অপর দুটি ফেরি বুধবারের মধ্যে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
ঘাটের পুরাতন ফেরিগুলোতে অনেক সময় যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়। এরকম ঘটনায় বহরে ফেরির সংখ্যা কমে যায়। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এনামুল হক বলেন, এরকম সমস্যা মোকাবিলায় যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভাসমান কারখানায় ফেরির প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ রাখা হয়েছে। কোনো ফেরির যান্ত্রিক সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে মেরামতে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রমিক রয়েছেন।
সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়া পাঁচ নম্বর ঘাটের কাছে নোঙর করা রয়েছে ভাষাশহীদ বরকত ফেরিটি। এটি মেরামত করছেন শ্রমিকরা। ঘাটে এখনও ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ দেখা যায়নি।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. আজমল বলেন, ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ১১টি রো রোসহ ২০টি ফেরি থাকবে। পাটুরিয়ায় প্রান্তে চারটি ও দৌলতদিয়া প্রান্তে ছয়টি ঘাট সচল রয়েছে। নৌপথের নাব্যতাও স্বাভাবিক রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে এসব ফেরি দিয়ে নির্বিঘ্নে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা যাবে।
Comments