গাজীপুরে ২০ কোটি টাকা মূল্যের জাল ডলারসহ লাইবেরিয়ার নাগরিক গ্রেপ্তার

গাজীপুরে প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের ২৫ লাখ মার্কিন জাল ডলারসহ এক লাইবেরিয়ান নাগরিককে আটক করেছে র‌্যাব-১এর সদস্যরা। তার নাম মোস্তফা আলী ওরফে জজ মাশাও (৪০)। তবে ভাষাগত জটিলতার কারণে তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। সে আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে র‍্যাব।
গাজীপুরে ২০ কোটি টাকা মূল্য মানের জাল ডলারসহ গ্রেপ্তারকৃত লাইবেরিয়ার নাগরিক জজ মাশাও। ছবি: স্টার

গাজীপুরে প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের ২৫ লাখ মার্কিন জাল ডলারসহ এক লাইবেরিয়ান নাগরিককে আটক করেছে র‌্যাব-১এর সদস্যরা। তার নাম মোস্তফা আলী ওরফে জজ মাশাও (৪০)। তবে ভাষাগত জটিলতার কারণে তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। সে আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে র‍্যাব।

র‌্যাব-১ এর স্পেশালাইজড কোম্পানি পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, প্রায় এক মাস আগে বাংলাদেশের স্থানীয় এক ব্যাংকারের সঙ্গে লাইবেরিয়ান নাগরিক মোস্তফা আলী ওরফে জজ মাশাওর ফেসবুকে পরিচয় হয়। গাজীপুরের মাস্টার বাড়ি এলাকার ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে ৩৫ কোটি টাকা মূল্যের ডলার দিবে বলে জজ মাশাও চুক্তি করে। সোমবার মাশাও ওই ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে চার হাজার ডলার লেনদেনও করে। চুক্তি মোতাবেক পরদিন মঙ্গলবার ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে ৩০ হাজার আসল ডলারের বিনিময়ে জাল ২৫ লাখ ডলার দেওয়ার কথা ছিল। জাল নোট লেনদেনের খবর পেয়ে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা মঙ্গলবার সকালে মাস্টার বাড়ি এলাকায় অবস্থান নেয়। বেলা ১১টার দিকে জজ মাশাও একটি বড় ব্যাগ নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়। জজ মাশাওকে এখানে হাতেনাতে আটক করা হয়। তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে প্রায় ২০ কোটি টাকা মূল্যের ২৫ লাখ জাল ইউএস ডলারসহ ডলার তৈরির সামগ্রী জব্দ করে। এসময় ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাবের দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে মাশাও ওই ব্যাংকারকে বলেন যে বিমানবন্দরে ডলার আটক করা হয়েছে। এটি ছাড়িয়ে আনতে সাত লাখ টাকা প্রয়োজন। পরে ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্টের মাধ্যমে ওই টাকা পাঠালে মাশাও তা তুলে নেন। ওই ডলার দিয়ে টাকা নেওয়ার জন্য মাস্টারবাড়ি এলাকায় গিয়েছিল মাশাও।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, লাইবেরিয়ার এই নাগরিক আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের সদস্য। সে ডলারের প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে দীর্ঘদিন ধরে জাল ডলারের বিনিময়ে টাকা হাতিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Comments