মমতা থাকছেন না মোদির শপথ অনুষ্ঠানে, কারণ ‘বিশেষ অতিথি’

নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে শেষমেশ না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা ব্যানার্জি। অথচ গতকাল মঙ্গলবারও প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি যাবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে শেষমেশ না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা ব্যানার্জি। অথচ গতকাল মঙ্গলবারও প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি যাবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

বুধবার সকালে জানা যায় মোদির শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বেশ কয়েকজন ‘বিশেষ অতিথি'। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের হাতে ‘নিহত’ ৫০ জন বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যরাও শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যায়। মমতার মতো তাদেরও ‘বিশেষ অতিথি’র মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এর পরই দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের ঘোষণা এল মমতার দিক থেকে।

বিজেপি বলছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে শুরু করে লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ৫০ জনেরও বেশি বিজেপি কর্মী ও সমর্থক তৃণমূলের সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছেন। এদের সকলকেই শহিদ আখ্যা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। সেই সঙ্গে দিল্লি যাওয়া-আসা-থাকা-খাওয়ার সব খরচ বহন করা হচ্ছে দলীয় তহবিল থেকে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্য সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন সংবিধানের সম্মান রক্ষার্থে তিনি প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সে হিসেবে আজ বুধবারই দিল্লির উদ্দেশে তার রওনা হওয়ার কথা ছিল।

দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মমতা বলেছেন, বিজেপি যেভাবে তার দলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনছে সে কারণেই তিনি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন না। টুইটারে তিনি লিখেছেন, দয়া করে আমায় মাফ করুন। আমার দলের নামে সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে রোজ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে তৃণমূল সমর্থকরা ঘরছাড়া হচ্ছেন। সেই ঘরছাড়া মানুষদের ঘরে ফেরাতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতার অদূরে উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে অবস্থান ধর্মঘটে বসবেন স্বয়ং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

১১ এপ্রিল থেকে ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়। ১৯ মে সপ্তম দফার ভোটের মধ্যদিয়ে ভোট পর্ব শেষ হলেও চূড়ান্তভাবে নির্বাচন কমিশন ২৩ মে ফলাফল ঘোষণা করে।

নির্বাচন কমিশনের কাজ শেষ হলেও পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক অঙ্ক আরও জটিল হতে শুরু করে। দল বদলের হিড়িক শুরু হয়েছে তৃণমূলে। বুধবার বিকেলেও বীরভূমের লাভপুরের বিতর্কিত তৃণমূল বিধায়ক মণিরুর ইসলাম সহ বিভিন্ন স্তরের একদল নেতা দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন মমতা

আরও পড়ুন: ফল বিপর্যয়ের পর দল বিপর্যয়ে মমতা: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

11m ago