আন্ডারডগ তকমায় খুশি দু প্লেসি

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নামার আগে অনুশীলনে ফাফ দু প্লেসি। ছবি: এএফপি

বিশ্বকাপে বরাবরই ফেবারিট থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে এ তকমাটা সে অর্থে থাকছে না তাদের। সাম্প্রতিক সময়ের ফলাফল ও প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তাদের চেয়ে ঢের এগিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও ভারত। তাই আন্ডারডগ হয়েই বিশ্বকাপ শুরু করতে যাচ্ছে দলটি। বিস্ময়কর হলেও সত্যি তাতে বেজায় খুশি অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি।

টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনেই মাঠে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। স্বাগতিক দেশ হওয়ায় এমনিতেই এ ম্যাচে ফেবারিট তারা। তার উপর দেশটির সাম্প্রতিক সময়ের ফলাফলও ঈর্ষনীয়। দু প্লেসিও তা মেনে নিয়েছেন সহজভাবেই, ‘আপনি ফেভারিট হোন বা না হোন, আপনাকে ভালো ক্রিকেট খেলেই জিততে হবে। তারা (ইংল্যান্ড) এটার দাবিদার, কারণ তারা স্বাগতিক এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে যাচ্ছে।’

তবে স্বাগতিকদের কোন অংশেই ভয় পাচ্ছে না প্রোটিয়ারা। নিজেদের আন্ডারডগ ভাবায় চাপহীন ক্রিকেট খেলতে পারবেন বলেই মনে করছেন দু প্লেসি, 'আসরের পুরো সময় আপনাকে এমন ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপক্ষ মোকাবিলা করতে হবে। তাই মনোযোগ ধরে রাখা নিশ্চিত করতে হবে। ইংল্যান্ডকে ফেভারিট মেনে নিলে খেলার দিন আমাদের ওপর চাপ কম থাকবে, আমরা নির্ভার খেলতে পারবো। আন্ডারডগ হিসেবে খেললে খেলোয়াড়দের যদি কিছুটা চাপমুক্ত থাকে তাহলে সেটা হবে দারুণ।’

অনেকটা জোর করে হলেও যে চাপ মুক্ত থাকতে চাইছেন তা ঝরে দু প্লেসির কণ্ঠে, ‘ক্রিকেট আমাদের জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। তবে এটাই জীবনের সব নয়। একটি দল হিসেবে আমরা অবশ্যই জিততে চাইবো। এটাই তো সবার চাওয়া। ৫ বছর আগেও এভাবে হয়তো কেউ আমাকে বলেনি। আমরা চাপ নিতে চাই না। আশা করি এই চিন্তাটা দলের অন্যদের ওপরও চাপ তৈরি করে না। তাদেরকে বেশ রিল্যাক্স রাখে।’

কিন্তু ইতিহাস বলে বিশ্বকাপ মানেই প্রোটিয়াদের উপর বাড়তি চাপ। আর তখন এ আলোচনাও থাকে তুঙ্গে। প্রায় প্রতি আসরে দারুণ সম্ভাবনা নিয়ে শুরু করে শেষটা হয় হতাশার গল্প দিয়েই। সে কারণেই তাদের নামের পাশে ট্যাগ লেগে গেছে ‘চোকার্স’। তবে এবার তারা প্রত্যাশার চাপ থেকে বেড়িয়ে নিজেদের আন্ডারডগ হিসেবে খেলতে যাচ্ছেন। কে জানে হয়তো এটাই টনিকের মতো কাজ করবে দলটির।

Comments

The Daily Star  | English
A freedom fighter’s journey to Mujibnagar

Who is a freedom fighter

The government's move to redefine freedom fighters has been at the centre of discussion

28m ago