টস জিতে ফিল্ডিংয়ে উইন্ডিজ
বর্তমান সময়ে হয়তো তাদের নিয়ে আলোচনা খুব একটা নেই। কিন্তু দুই দলেরই ঐতিহ্য অনেক সমৃদ্ধ। আর দুই দলের নামের পাশেই আছে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমা। সে দলই একে অপরের মুখোমুখি হয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে যাচ্ছে। এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে টস জিতে নিয়েছে উইন্ডিজ। বেছে নিয়েছে ফিল্ডিং। নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ইংল্যান্ডের মাঠে পাকিস্তানের জন্য পয়া হলেও সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না তাদের। কদিন আগেই ইংল্যান্ডের কাছে পেয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার কাছেও হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। সব মিলিয়ে টানা ১০ হার। এমনকি প্রস্তুতি ম্যাচেও আফগানিস্তানের কাছে পাত্তা পায়নি দলটি। তাই ব্যাকফুটেই আছে দলটি।
উইন্ডিজের অবস্থাও যে সাম্প্রতিক সময়ে খুব ভালো তাও নয়। ত্রিদেশীয় সিরিজে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে জিতলেও বাংলাদেশের সঙ্গে তারা হেরেছে তিনটি ম্যাচেই। অবশ্য সে দলে ছিলেন না দলের অন্যতম ভরসা ক্রিস গেইল ও আন্দ্রে রাসেলের মতো খেলোয়াড়রা। তবে নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে আছে ফুরফুরে মেজাজে। পুরো ৫০ ওভার না খেলেও তুলেছিলেন চারশর বেশি রান।
ফিটনেস ঘাটতির শঙ্কা কাটিয়ে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে খেলছেন মোহাম্মদ আমির। বাঁহাতি এই তারকা পেসারের ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিলো ২০০৯ সালে। তবে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জড়িয়ে পাওয়া নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০১১ ও ২০১৫ আসরে খেলতে পারেননি তিনি। এবারে বিশ্বকাপে খেলার পরম আরাধ্য স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে আমিরের। তার সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না হলেও অভিজ্ঞতা আর দক্ষতায় ঘাটতি নেই। সেগুলোকে পুঁজি করে যেকোনো সময়ে প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দিতে পারেন তিনি।
ব্যাটে-বলে সমান পারদর্শী আন্দ্রে রাসেলের জুড়ি মেলা ভার! সবশেষ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এই উইন্ডিজ অলরাউন্ডার ছিলেন বিধ্বংসী ফর্মে। ব্যাট হাতে তুলেছিলেন ঝড়। কিউইদের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেও ফর্মের ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন তিনি। মাত্র ২৫ বলেই করেছিলেন ৫৪ রান।
পাকিস্তান একাদশ: ইমাম উল হক, ফখর জামান, বাবর আজম, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, হাসান আলি ও ওয়াহাব রিয়াজ।
উইন্ডিজ একাদশ: ক্রিস গেইল, শেই হোপ, শিমরন হেটমেয়ার, ড্যারেন ব্রাভো, নিকোলাস পুরান, জেসন হোল্ডার, আন্দ্রে রাসেল, অ্যাশলে নার্স, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, শেলডন কটরেল, ওশানে থমাস।
Comments