তাহিরকে শুরুতে আনার পরিকল্পনা হয়েছিলো এক বছর আগে!
২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শুরুতেই ওলট-পালট রেকর্ড বই। প্রথম ওভারেই ঘটলো এমন কাণ্ড যা দেখা যায়নি আগের এগারো আসরে। লেগ স্পিনার ইমরান তাহিরকে দিয়ে বোলিং শুরু করালেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি! এমন ঘটনায় চমকিত গোটা ক্রিকেটবিশ্ব। বিস্ময়ের ঘোর কাটতে না কাটতেই আরেক চমকপ্রদ তথ্য দিলেন দু প্লেসি। ম্যাচের শুরুতে তাহিরের হাতে নতুন বল তুলে দেওয়ার ভাবনাটা হুট করে তার মাথায় আসেনি, বরং এক বছর আগেই এই পরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছিলেন তারা!
গতকাল (৩০ মে) প্রথম স্পিনার হিসেবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ওভারে বোলিং করার কীর্তি গড়েন ৪০ বছর বয়সী তাহির। আগের সব বিশ্বকাপেই বোলিং শুরু করেছিলেন পেসাররা। সেই ধারায় পড়লো ছেদ। আর দ্বিতীয় বলেই বাজিমাত। ইংল্যান্ডের বিপজ্জনক ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে দেন তাহির। রানের খাতা খোলার আগেই গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন বেয়ারস্টো। তাহিরের লেগ ব্রেক ডেলিভারিটি তার ব্যাটে চুমু খেয়ে পৌঁছায় উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে। আগে থেকে কেটে রাখা ছকটার ঘটে পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন! আর উইকেট নিয়েই তাহিরের 'ট্রেডমার্ক' উদযাপন- দে ছুট! ভোঁ দৌড় লাগালেন ওভালের গোটা মাঠ জুড়ে।
এই উচ্ছ্বাস অবশ্য শেষ পর্যন্ত টেকেনি দক্ষিণ আফ্রিকার। ইংল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ৩১২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২০৭ রানে থামে তারা। তখনও বাকি ছিল ইনিংসের ৬১টি বল। তাতে ১০৪ রানের বিশাল জয়ে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে স্বাগতিক ইংলিশরা।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাহিরের প্রসঙ্গ আসাটা অনুমিতই ছিলো। আসেও। তখনই দু প্লেসি তুলে ধরেন স্পিন দিয়ে বোলিং শুরু করার কৌশলের আদ্যোপান্ত, ‘এটা (তাহিরকে শুরুতে আনা) পরিকল্পনা ছিলো। প্রায় এক বছর আগে এটা ভেবেছিলাম আমরা। আমি তখন বলেছিলাম যে, যখন আমরা ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হব, আমি ইমিকে (তাহিরের ডাকনাম) দিয়ে শুরু করতে চাই। কারণ এটা ভিন্ন কিছু হবে।’
‘এই ম্যাচের আগে দুই সপ্তাহ অনুশীলন করেছি আমরা। কিন্তু নতুন বল নিয়ে সে (তাহির) খুব একটা কাজ করেনি। তবে সে জানতোই যে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওভারটি তাকে করতে হবে,’ যোগ করে বলেন দু প্লেসি।
প্রোটিয়া দল এখন লন্ডনেই অবস্থান করছে। একই মাঠে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে তারা। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী রবিবার (২ জুন)।
আরও পড়ুন:
Comments