ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় ৫ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে কিম জং-উন

Kim Jong Un
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে গত ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনটি ব্যর্থ হওয়ায় সমাজতান্ত্রিক দেশটির পাঁচ কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদপত্র।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর কোরিয়ার পরমাণু গবেষণাবিষয়ক একজন কর্মকর্তা।

উত্তর কোরিয়ার সূত্র ব্যবহার করে আজ (৩১ মে) দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম বহুল প্রচারিত দৈনিক ‘চোসুন ইলবো’ জানায়, উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের চারজন কর্মকর্তার সঙ্গে কিম হ্যায়ক-চোলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় পিয়ংইয়ংয়ের মিরিম বিমানবন্দরে।

সূত্র মতে, “যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগ আনা হয় কিম হ্যায়ক-চোলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ করা হয় যে চোল মার্কিন স্বার্থ দেখতেই খুব দুর্বলভাবে উত্তর কোরিয়ার প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন।”

হ্যানয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়া কোনো চুক্তিতে উপনীত হতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ছিলো কোরিয়া উপদ্বীপকে পরমাণুবোমা মুক্ত রাখা এবং উত্তর কোরিয়ার দাবি ছিলো তার ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অবস্থিত কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশন এর জ্যেষ্ঠ ফেলো হং মিন বলেন, এটি অবাক হওয়ার মতো কোনো ঘটনা নয়। কেননা, কিম হ্যায়ক-চোল খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সরাসরি কিম জং-উনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।

হং মিনের ভাষায়, “চোলের কাজ ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে কিমকে অবহিত করা। তবে আমি নিশ্চিত না যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার দরকষাকষির বিষয়ে চোলের কোনো ভূমিকা ছিলো কী না।”

হ্যানয় সম্মেলনের কয়েক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণুবিষয়ক কর্মকর্তা স্টেফেন বিগুনের সঙ্গে চোলের বৈঠকের পর তাকে উত্তর কোরিয়ার রাজনীতিতে উদীয়মান তারকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে তার ক্ষমতা নিয়ে খুব কম জানা যায়।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্য চারজন কর্মকর্তা ভিয়েতনামের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে কাজ করতেন বলেও জানায় দৈনিক ‘চোসুন ইলবো’। সংবাদমাধ্যমটির মতে, নিহত কর্মকর্তাদের একজন সিন হাই-ইয়ং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার হ্যানয় সম্মেলনে দোভাষী হিসেবে কাজ করেছিলেন।

এছাড়াও, নিহত অপর কর্মকর্তা কিম সং-হাই ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতেন উত্তর কোরিয়ার নেতার ছোটবোন কিম ইয়ো-জং এর সঙ্গে।

গতকাল (৩০ মে) উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের মুখপাত্র রোডং সিনমুন সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘দু-মুখো’ কর্মকর্তাদের ‘বিপ্লবের কঠিন বিচারের মুখে’ পড়তে হবে। তিনি এই কর্মকর্তাদের ‘দলবিরোধী’ ও ‘বিপ্লববিরোধী’ বলেও উল্লেখ করেন।

এর আগে ২০১৩ সালে কিম জং-উনের চাচা জং সং-থায়েককে হত্যা করার সময় তাকেও ‘দল ও বিপ্লববিরোধী’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছিলো।

Comments

The Daily Star  | English

Israel launches major attack on Iran: what we know so far

‘Nuclear plant, military sites’ hit; strikes likely killed Iranian chief of staff, top nuclear scientists; state of emergency declared in Israel, fearing Iranian retaliation

2h ago