পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে শুরু উইন্ডিজের

পুঁজিটা মাত্র ১০৫ রানের। এ নিয়ে লড়াই করতে হলে শুরুতেই উইকেট চাই। মোহাম্মদ আমিরের সুবাদে দ্রুত দুটি উইকেট পেলও পাকিস্তান। কিন্তু ওই প্রান্তে যে রয়ে গেছেন ক্যারিবিয়ান দৈত্য ক্রিস গেইল। তাকে থামাতে পারেনি দলটি। ফলে সহজ হারই মানতে হয় এশিয়ার দলটিকে। ২১৮ বল বাকী রেখে ৭ উইকেটের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে উইন্ডিজ।
ছবি: রয়টার্স

পুঁজিটা মাত্র ১০৫ রানের। এ নিয়ে লড়াই করতে হলে শুরুতেই উইকেট চাই। মোহাম্মদ আমিরের সুবাদে দ্রুত দুটি উইকেট পেলও পাকিস্তান। কিন্তু ওই প্রান্তে যে রয়ে গেছেন ক্যারিবিয়ান দৈত্য ক্রিস গেইল। তাকে থামাতে পারেনি দলটি। ফলে সহজ হারই মানতে হয় এশিয়ার দলটিকে। ২১৮ বল বাকী রেখে ৭ উইকেটের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে উইন্ডিজ।

ট্রেন্ট ব্রিজের ব্যাটিং স্বর্গে যখন শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। তখনই ম্যাচের ফলাফল এক প্রকার লেখা হয়ে যায়। ১০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া আর এমনকি। কিন্তু প্রতিপক্ষ যে উইন্ডিজ। পাকিস্তানের মতোই যে তারা আনপ্রেডিক্টেবল। তাই আশাটা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু গেইল ঝড় থামাতে না পাড়ায় হয়নি কোন মিরাকল।

তবে পাকিস্তানকে আশাবাদী করতে পারে আমিরের বোলিং। গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পর নিজেকে যেন হারিয়ে খুঁজছিলেন। এদিন দারুণ বোলিং করেছেন তিনি। ক্যারিবিয়ানদের হারানো ৩টি উইকেটই পেয়েছেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা দারুণ গতির সঙ্গে কার্যকরী সুইং ছিল দেখার মতো। তবে আমিরের তোপ যথেষ্ট হয়নি পাকিস্তানের জন্য। কারণ মাত্র ৩৪ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন গেইল। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজিয়েছেন নিজের ইনিংস। এছাড়া ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন নিকোলাস পুরান।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। শুরুতে দারুণ কিছু শট খেলে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ওপেনার ফাখার জামান। তবে আরেক ওপেনার ইমাম-উল-হকের উইকেট তুলে নেওয়ার পর বদলে যায় পরিস্থিতি। যদিও উইকেটে নেমে বাবর আজমও খেলছিলেন ভয়ডরহীন ক্রিকেট। তখনই বোলিংয়ে পরিবর্তন আনে উইন্ডিজ। বল হাতে নিয়েই ফাখারকে বোল্ড করেন আন্দ্রে রাসেল।

এরপর শুরু হয় পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার পালা। উইকেটে নেমেই তড়িঘড়ি করতে গিয়ে একের পর এক উইকেট হারিয়ে দলীয় ৮৩ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের স্কোরটি ২২। ফাখার ও বাবরের দুইজনই এ পরিমাণ রান করেন। এ দুই ব্যাটসম্যান ছাড়া কেবল দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছাতে পেরেছেন মোহাম্মদ হাফিজ (১৬) ও ওয়াহাব রিয়াজ (১৮)।

মূলত রিয়াজের ব্যাটেই দলটি একশর কোটা পেরিয়েছে। বর্ণহীন ম্যাচে শেষ দিকে ১টি চার ও ২টি ছক্কা মেরে দর্শকদের কিছুটা বিনোদন দিয়েছেন তিনি। উইন্ডিজের প্রায় সব বোলারই ভুগিয়েছে পাকিস্তানকে। তবে সেরা বোলার তরুণ ওশানে থমাসই। ২৭ রান দিয়ে পেয়েছেন ৪টি উইকেট। অধিনায়ক জেসন হোল্ডার নিয়েছেন ৩টি উইকেট। এছাড়া রাসেল ২টি ও শেল্ডন কট্রেল ১টি উইকেট পান। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ২১.৪ ওভারে ১০৫ (ইমাম ২, ফাখার ২২, বাবর ২২, হারিস ৮, সরফরাজ ৮, হাফিজ ১৬, ইমাদ ১, শাদাব ০, হাসান ১, ওয়াহাব ১৮, আমির ৩*; কটরেল ১/১৮, হোল্ডার ৩/৪২, রাসেল ২/৪, ব্র্যাথওয়েট ০/১৪, থমাস ৪/২৭)।

উইন্ডিজ: ১৩.৪ ওভারে ১০৮/৩ (গেইল ৫০, হোপ ১১, ব্রাভো ০, পুরান ৩৪*, হেটমায়ার ৭*; আমির ৩/২৬, হাসান ০/৩৯, ওয়াহাব ০/৪০)।

ফলাফল: উইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ওশান থমাস (উইন্ডিজ)।  

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago