শ্রীলঙ্কাকে একাই টানলেন সেই কারুনারাত্নে
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই আউট হয়ে যেতে পারতেন অধিনায়ক দিমুথ কারুনারাত্নে। ট্রেন্ট বোল্টের বল উইকেটে লাগল ঠিকই, কিন্তু বেল পড়ল না। ভাগ্য ভালো থাকায় সে যাত্রা টিকে গেলেন এ ওপেনার। জীবন পেয়ে অধিনায়ক প্রায় একাই টানলেন শ্রীলঙ্কাকে। এক প্রান্তে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়া। অন্য প্রান্তটা ঠিকই ধরে রাখলেন কারুনারাত্নে। দলকে এনে দিলেন সম্মানজনক পুঁজি। ২৯.২ ওভারে ১৩৬ রান করেছে দলটি।
ইংল্যান্ডের বাউন্সি উইকেটে সংগ্রাম করতে হবে শ্রীলঙ্কাকে, এটা এক প্রকার অনুমিতই ছিল। সোফিয়া গার্ডেন্সের এ মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগেও হেরেছে শ্রীলঙ্কা। এমনকি এ মাঠে এখন পর্যন্ত কোন জয়ই পায়নি তারা। আগের চারটি ম্যাচেই হেরেছে তারা। এদিন বোলাররা আহামরি দারুণ কিছু না করলে হয়তো আরও একটি হার দেখতে হবে দলটিকে।
বিশ্বকাপে আসার আগে হুট করেই লঙ্কান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান কারুনারাত্নে। আর এ দায়িত্বের জন্য যে তিনি যোগ্য তা প্রমাণ করে দিলেন তিনি। দলের অন্য সব ব্যাটসম্যানরা যখন আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন, তখন অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেছেন কারুনারাত্নে।
এদিন টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমেছিল লঙ্কানরা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই নিউজিল্যান্ডের সফল রিভিউতে লাহিরু থিরিমান্নেকে হারায় দলটি। তবে তিন নম্বরে নামা কুশল পেরেরাকে নিয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল দলটি। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৭ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েছিল দলটি। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই যেন বদলে গেল সব। উইকেট হারানোর মিছিলে যোগ দিলেন ব্যাটসম্যানরা।
সপ্তম উইকেটে অবশ্য থিসারা পেরেরা কিছুটা সঙ্গ দিয়েছিলেন অধিনায়ককে। ম্যাচের একমাত্র অর্ধশত রানের জুটিটিও আসে এ জুটিতে। উইকেটে নেমে ধারার বিপরীতে কিছুটা আগ্রাসী ব্যাট করেন থিসারা। ২৩ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এ দুই ব্যাটসম্যানের স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৫২ রান। তাতেই একশ রানের কোটা পাড় করে দলটি।
তবে মজার একটি ব্যাপার ঘটিয়েছেন কারুনারাত্নে। লোকি ফার্গুসনের ২৭তম ওভারের চতুর্থ বলে ফ্রি হিট পেয়েছিলেন তিনি। সে বলটি স্লো বাউন্সার দিয়েছিলেন ফার্গুসন। কিন্তু সবাইকে বিস্ময় উপহার দিয়ে সে বলে না মেরে মাথা নিচু করে মারার কোন চেষ্টায় করেননি অধিনায়ক। তবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৫২ রানের ইনিংস খেলেছেন কারুনারাত্নে। ৮৪ বলের ধৈর্যশীল ইনিংসে ৪টি চার মেরেছেন এ ব্যাটসম্যান।
এদিন শ্রীলঙ্কাকে ভুগিয়েছেন ম্যাট হেনরিই বেশি। অথচ এ ম্যাচে খেলার কথাই ছিল না তার। দলের অন্যতম সেরা পেসার টিম সাউদি ইনজুরিতে থাকায় সুযোগ মিলে তার। সুযোগ পেয়েই যোগ্যতা প্রমাণ করেন তিনি। পেয়েছেন ৩টি উইকেট। ৩টি উইকেট পেয়েছেন ফার্গুসনও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ২৯.২ ওভারে ১৩৬ (থিরিমান্নে ৪, করুনারত্নে ৫২*, কুসল পেরেরা ২৯, কুসল মেন্ডিস ০, ধনাঞ্জয়া ৪, ম্যাথিউস ০, জিবন মেন্ডিস ১, থিসারা ২৭, উদানা ০, লাকমল ৭, মালিঙ্গা ১; হেনরি ৩/২৯, বোল্ট ১/৪৪, ফার্গুসন ৩/২২, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/১৪, নিশাম ১/২১, স্যান্টনার ১/৫)।
Comments