যে ‘হাইপ’ উঠায় বড় ভয় মাশরাফির
বাংলাদেশে সেমিফাইনালে যাবে, অমুক তমুককে হারাবে এমন প্রত্যাশা চড়া হয়েছে বেশ কদিন থেকেই। কেউবা আবার এক কাটি বেড়ে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়নও দেখছেন। সর্বশেষ আইসিসি টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল খেলায় সেই প্রত্যাশা একেবারে অমূলকও নয়। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক বিশ্বকাপের আগে উঠা এই হাইপ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে চান, থাকতে চান চাপমুক্ত।
ইংল্যান্ডের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ম্যাচে উড়ে যাওয়ার পর বিদেশী মিডিয়াও বাংলাদেশকে রাখছে সমান পাল্লায়। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক বড় পরীক্ষার আগে নিজেদের সেইফ মুডে নিয়ে যেতে চান, তার কণ্ঠে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত, ‘আমাদের অনেকেই চিন্তা করছে, আমরা বিশ্বকাপ জিতে গেছি, সেমিফাইনাল খেলছি, এগুলো চিন্তা করা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। কোন জায়গা থেকেই আমরা ফেভারিট না। উইকেটের বিবেচনায় বলেন বা যাই বলেন। এমনকি কালকের ম্যাচও না(ফেভারিট)। দক্ষিণ আফ্রিকা ফেভারিট হিসেবে খেলবে।’
তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেভারিট আর বাংলাদেশ কেবল খেলার জন্য খেলবে, বিষয়টা এমনও না। জনমানসে উঠে হাইপেই কেবল আপত্তি মাশরাফির, ‘সেই সঙ্গে এমন নয় যে আমরাও ওখানে আমাদের সেরাটা খেলবো না। আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা অবশ্যেই চাইবো জিততে। আমরা কোন জায়গা থেকেই ভাবছি না , আমরা ম্যাচটা হেরে যাবো। কিন্তু হাইপের কথা বললে, অনেকেই মনে করে ওখানে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবো। যারা ক্রিকেট বিশ্লেষণ করছে, তারা আমাদের পিছিয়ে রাখছে, কিন্তু আমরা যুদ্ধ করছি।’
দেশ থেকে প্রত্যাশার পারদ আঁচ করে এসেছেন। ব্রিটেনে আসার পর প্রবাসীদের কাছ থেকেও আকাশ ছোঁয়া প্রত্যাশার ঝাঁজ টের পাচ্ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সবার এমন বাড়তি আশাতে আবার ভীষণ ভয় তার, ‘আমার কাছে মনে হয় এবার প্রত্যাশাটা কিছুটা বেশি। আপনাদের থেকে শুরু করে সবাই প্রত্যাশা করছে আমরা ভালো করবো। প্রত্যাশা খারাপ না, সেটা অনেক সময় সেরাটা বের করে আনে। আমার কথা হচ্ছে প্রত্যাশা যেন চাপ তৈরি না করে। তাই মূল কাজটাতে আমাদের ফোকাস রাখতে হবে।’
ভক্ত, সমর্থকদের প্রত্যাশার এমন বেলুন উড়াতে দেখে ক্রিকেটারদের সতর্ক করে দিয়েছেন মাশরাফি। মাঠের বাইরের বাকি সব কিছু পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশ চায় কেবল নির্দিষ্ট কাজে মনটা রাখতে, ‘এটা সাধারণ একটা ম্যাচ হিসেবেই খেলতে নামবো। আমাদের খেলোয়াড়দের এভাবেই বিষয়গুলো দেখতে হবে। যতটা স্বাভাবিক থাকা যায় মাঠে, জিনিসটাকে সহজ করে নিতে পারলে আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারবো। কিন্তু প্রত্যাশার কথা শুনে যদি আমারা মাঠে ঢুকি তাহলে আমাদের উপর চাপ পড়বে।’
Comments