নারায়ণগঞ্জে ২ পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৬
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় দুই নারী পোশাক শ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ৬ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার সকালে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক কিশোরী বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এতে গ্রেপ্তারকৃত ছয় যুবকসহ আরও দুই জনের নাম জ্ঞাত ও অজ্ঞাত তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
ওই দুই নারী পোশাক শ্রমিক পরস্পর বান্ধবী। তাদের মধ্যে একজন নয়ামাটি হোসিয়ারী কারখানার শ্রমিক (১৮) ও আরেকজন ফারজানা টাওয়ারের গার্মেন্টস শ্রমিক (১৫)। দুইজনই বন্দর এলাকার বাসিন্দা।
মামলার বরাত দিয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শনিবার (১ জুন) বিকেলে দুই বান্ধবী তাদের দুই বন্ধু রিয়াদ (২০) ও জয়নালের (২০) সঙ্গে উপজেলার সাবদী এলাকায় ঘুরতে যান। সেখান থেকে রাত ৯টায় বাসায় ফেরার পথে তিন-চার জন অজ্ঞাত যুবক এসে রিয়াদ ও জয়নালকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে দুই বান্ধবীকে জোর করে একটি ফসলের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে আরও সাত-আট যুবক মিলে পালাক্রমে দুই বান্ধবীকে ধর্ষণ করে। এসময় তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে রায়হান, শাহিন ও নিজাম নামে তিন যুবককে আটক করে ও অন্য পালিয়ে যায়।
এদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতেই অভিযান চালিয়ে সুজন, নাজিম উদ্দিন ও শাহিন নামে আরও তিন জনকে আটক করে পুলিশ। আর দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে।
তিনি আরও জানান, ওই ঘটনায় এক কিশোরী বাদী হয়ে আট জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। আর ওই মামলায় আটক ছয় যুবককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়াও পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার বালুচর এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. রায়হান (২৩), ভমোদরদী এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে শাহিন (২৫), একই এলাকার মোজাল হকের ছেলে মো. নাজিম (২২), ছন খোলা এলাকার মো. জাহাঙ্গীরের ছেলে সুজন (২৩), মিরকুন্ডি কলাবাগ এলাকার মো. আলাউদ্দিনের ছেলে নাজিম উদ্দিন (২৫) ও তমুরদি এলাকার ফজল হকের ছেলে শাহিন (২৫)। গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে পলাতক আসামিরা হলেন, সোহাগ (২৫), তুহিন (২১) ও নাঈম (২০)।
গ্রেপ্তারকৃতদের দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়। পরে বিকেলে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছয় যুবক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে রায়হান, শাহিন, নাজিম, সুজন ও নাজিম উদ্দিন কিশোরীদের ধর্ষণের এবং নাজিম সহযোগিতা করার কথা স্বীকার করেন।
Comments