পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি পারাপার স্বাভাবিক

পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানে ২০টি ফেরি দিয়ে চলছে গাড়ি পারাপার। ঈদের আর মাত্র একদিন বা দুদিন বাকি। বিগত বছরগুলোতে এই সময়ে গাড়ির দীর্ঘ লাইন থাকে। কিন্তু এবারের চিত্রটা ভিন্ন।
Paturiaghat
৩ জুন ২০১৯, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় চিরচেনা গাড়ির সেই দীর্ঘ লাইন দেখা যায়নি। ছবি: স্টার

পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানে ২০টি ফেরি দিয়ে চলছে গাড়ি পারাপার। ঈদের আর মাত্র একদিন বা দুদিন বাকি। বিগত বছরগুলোতে এই সময়ে গাড়ির দীর্ঘ লাইন থাকে। কিন্তু এবারের চিত্রটা ভিন্ন।

আজ (৩ জুন) সকালে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় চিরচেনা গাড়ির
সেই দীর্ঘ লাইন দেখা যায়নি।

গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গাড়ির কিছুটা চাপ থাকলেও রাতে ঘাট ছিলো ফাঁকা। কর্তৃপক্ষের দাবি কোনো ধরণের ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা ফেরি বা লঞ্চে নদী পার হয়ে তাদের গন্তব্যে যেতে পারছেন।

বিআইডব্লিউটিসি'র সহকারী মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, সাধারণত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ দিয়ে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার গাড়ি পার হয়। ঈদের আগে এই সংখ্যা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়। এই বর্ধিত গাড়ি পার করতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। একারণে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ’র সমন্বয়ে কয়েকটি প্রস্তুতিমূলক সভা করে ঘাটে ফেরির সংখ্যা ১৬ থেকে বাড়িয়ে ২০টি করা হয়। আর এই ফেরি সংখ্যা বাড়ানোর ফলেই পাটুরিয়া ঘাটে যানজট কিংবা গাড়ির দীর্ঘ লাইন থাকছে না বলে জানান তিনি। ফেরির পাশাপাশি লঞ্চেও বিপুল সংখ্যক যাত্রী পার হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, যানজট রোধে ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়ক ও ঘাট এলাকায় ৫ শতাধিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কোন ধরণের সমস্যা হবে না বলে আশা করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, ফেরি এবং লঞ্চে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে এবং তাদের ভোগান্তি লাঘবের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট, চিকিৎসকের সমন্বয়ে মেডিক্যাল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। যেকোনো ধরণের নৈরাজ্য, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Army given magistracy power

The government last night gave magistracy power to commissioned army officers with immediate effect for 60 days in order to improve law and order.

7h ago