ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট ফাঁকা

ঈদের আর মাত্র এক বা দুই দিন বাকি। কিন্তু, এখনও তেমন যান ও জনের চাপ পড়েনি শিমুলিয়া ঘাটে। এমন চিত্রই দেখা যাচ্ছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে।
Shimuliaghat

ঈদের আর মাত্র এক বা দুই দিন বাকি। কিন্তু, এখনও তেমন যান ও জনের চাপ পড়েনি শিমুলিয়া ঘাটে। এমন চিত্রই দেখা যাচ্ছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে।

আজ (৩ জুন) শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, কোনো ঘাটেই ফেরির জন্য যানবাহন অপেক্ষায় নেই। বরং ফেরিই অপেক্ষা করছে যানবাহনের জন্য। যে গাড়ি আসছে সাথে সাথে সেটি ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। ফেরিঘাটের পার্কিং ইয়ার্ডগুলো একেবারেই ফাঁকা রয়েছে। পার্কিং ইয়ার্ডগুলোতে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে, সেগুলোই ফেরিতে পারাপার করা হচ্ছে। যদিও ঈদের কদিন আগ থেকেই ট্রাক পারাপার বন্ধ করার ঘোষণা থাকলেও হালকা গাড়ি ও যাত্রীবাহী বাস কম থাকায় ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পারাপার করা হচ্ছে ফেরিতে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটস্থ এজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, তিনটি রো রো, সাতটি ডাম্প, ছয়টি কে-টাইপসহ মোট ১৮টি ফেরি চলাচল করছে এ নৌ-রুটে। এছাড়া ৮৭টি লঞ্চ ও প্রায় ৫শ স্পিডবোট চলাচল করছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, এ নৌ রুটে চলাচলরত যাত্রীরা কোনো প্রকার হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার যাতে না হয়, সে জন্য ঘাটের প্রত্যেক পয়েন্টে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছেন। কোনো নৌযান ও পরিবহন যাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে পারে সেদিকে আমরা নজর রাখছি। তবে এখন পর্যন্ত যাত্রী ও যানবাহনের তেমন কোনো চাপ না থাকায় কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রী নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ঘাটে ঈদের আরও আগে থেকেই থাকে উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু, এবার চিত্র ভিন্ন। ঘাটে রয়েছে কিছু ব্যক্তিগত ও হালকা গাড়ির চাপ। বড় গাড়ির সংখ্যা অনেকটাই কম। তাই গতকাল দুপুরে পর গাড়ির চাপ কম থাকায় ট্রাক পার করতে দেখা গেছে।

ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোট- কোথাও যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই। এ ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি ও ঘাট সংশ্লিষ্টরা আগেই নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এর ফলে কোনো প্রকার ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা নিরাপদে প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে যে যার গন্তব্যে ফিরছেন।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago