ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই বদলে গেল পাকিস্তান
আনপ্রেডিক্টেবল খ্যাতি কি আর এমনি এমনি হয়েছে। আগের ম্যাচে উইন্ডিজ পেসারদের গতি সামলাতে না পেরে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। সেই পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা এদিন শুরু থেকে সাবলীল ব্যাট করছে। ইঙ্গিত দিচ্ছে চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান করার। ৪০ ওভার শেষেই ছাড়িয়েছে আড়াইশ রানের কোটা।
বাউন্সি উইকেটে সবসময়ই ভালো খেলে পাকিস্তান। এই ইংল্যান্ড থেকে তারা জিতেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি। জিতেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এছাড়া ১৯৯৯ সালের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টও তারা। এছাড়া ১৯৯২ সালে যে বিশ্বকাপ জিতেছে তারা সেটা এসেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। যারাও বাউন্সি উইকেটই বানিয়ে থাকে। কিন্তু এক রাশ বিস্ময় উপহার দিয়ে উইন্ডিজের বাউন্সার সামলাতে পারেনি দলটি।
তবে এদিন নিজেদের ফিরে পেয়েছেন পাকিস্তানিরা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক দারুণ সূচনা এনে দেন দলকে। ওপেনিং জুটিতেই আসে ৮২ রান। এরপর অবশ্য খুব বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি আরেক ওপেনার ইমাম। তার কারণ অবশ্য ক্রিস ওকসের দুর্দান্ত এক ক্যাচ।
এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজ। প্রথম বলেই ডাউন দ্য উইকেট খেলে চার মেরে বুঝিয়ে দেন এদিন ভিন্ন পণ করেই নেমেছে তারা। যদিও ব্যক্তিগত ১৪ রানে জেসন রয়ের হাতে সহজ জীবন পেয়েছেন। তবে সে জীবন দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। এর মধ্যেই তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি।
দলের সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজমও ভালো ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। ব্যক্তিগত ১ রানে জীবন পেয়েছিলেন তিনিও। শেষ পর্যন্ত ওকসের আরও একটি দারুণ ক্যাচে ফিরেছেন তিনি। তবে এর আগে দলের জন্য কার্যকরী ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। ৬৬ বলের ইনিংসটি ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজিয়েছেন এ ব্যাটসম্যান।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৫২ রান তুলেছে পাকিস্তান। ৬৪ রানে ব্যাট করছেন হাফিজ। তার সঙ্গী অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদও ব্যাট করছেন দারুণ। ২৭ রানে ব্যাট করছেন অধিনায়ক।
Comments