ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট নেই, স্বস্তিতে যাত্রীরা

সোমবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের এলেঙ্গা এলাকায় তোলা এই ছবিতে যানবাহনের চাপ বাড়তে দেখা গেলেও বিকেল ৫টা পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়নি। ছবি: মির্জা শাকিল/স্টার

গতকাল রোববারের তুলনায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আজ গাড়ির চাপ বাড়লেও যানজট নেই। ফলে ঈদের ছুটিতে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ।

বিকেলে মহাসড়ক পরিদর্শন করেছেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়।

অন্যান্য বছর ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পরই অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে এই সময় মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতো। এমনকি রাতে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে ধুকে ধুকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত পৌঁছতে সকাল হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও বিরল ছিল না।

এবার এই মহাসড়কে গাজীপুরের চন্দ্রায় নবনির্মিত উড়াল সড়ক, আন্ডারপাস ও সেতু সপ্তাহখানেক আগেই খুলে দেওয়ায় পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। গত ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব উদ্বোধন করেন।

উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহনের চাপ সামাল দিতে ২০১৩ সালে দুই লেনের এই মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীত করার প্রকল্প নেয় সরকার। এরপর ভূমি অধিগ্রহণ ও অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে ২০১৬ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। যেটি চলতি বছর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এই প্রকল্পের সাথে নতুন করে ২৯টি নতুন ব্রিজ, চারটি ফ্লাইওভার ও ১৪টি আন্ডারপাস সংযুক্ত হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।

ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যানজট নিরসনে মহাসড়কে প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়। মহাসড়কে মোতায়েন করা হয়েছে সাত শতাধিক পুলিশ। এছাড়াও তিনটি কন্ট্রোল রুম, দুইটি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। মহাসড়কে যেন কোনো তিন চাকার যানবাহন না ওঠে তার জন্যও ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।

ঈদ শেষে লোকজন যেন স্বচ্ছন্দে রাজধানীতে ফিরতে পারে সে লক্ষ্যে মহাসড়কের ১০৫ কিলোমিটার এলাকা পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি সেক্টরে একজন করে অতিরিক্ত এসপি, এএসপি, ইন্সপেক্টরসহ বিভিন্ন পদ মর্যাদার সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন কয়েকশো আনসার সদস্য।

পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, সারাদিন যানজট ছিল না। রাতে যাতে না হয় সেজন্য প্রস্তুত আছি। মানুষ ঘরে না ফেরা পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকব। এছাড়াও বগুড়ার পুলিশ সুপার ও বগুড়া হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে আমাদের সভা হয়েছে- যাতে সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে কোনো ধরনের যানজট না হয়। পাশাপাশি অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-CEC Nurul Huda gives confessional statement in poll irregularities case

Statement being recorded before magistrate in case over alleged bias in past elections

31m ago