কোনোমতে দুইশ পার শ্রীলঙ্কার
দুর্দান্ত শুরু, মাঝে ব্যাটিং বিপর্যয়। এরপর বৃষ্টির তোপ। ম্যাচের পরিধি নেমে আসে ৪১ ওভারে। সেটা পুরো খেলতে পারলে লড়াকু সংগ্রহ হয়তো পেত শ্রীলঙ্কা। কিন্তু বৃষ্টির পর আর ২৯ বল টিকতে পেরেছে দলটি। তাতে কোনোমতে দলীয় স্কোর দুইশ পার করেছে তারা। ৩৬.৫ ওভার ব্যাট করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান তুলেছে ১৯৯৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাট করতে থাকেন দুই ওপেনার কুশল পেরেরা ও অধিনায়ক দিমুথ কারুনারাত্নে। বড় কোনো ঝুঁকি না নিয়ে নিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যাট করে চলেন এ দুই ব্যাটসম্যান। সিঙ্গেলসের উপর খেলে মাঝে মধ্যেই মারছিলেন বাউন্ডারি। ফলে প্রথম পাওয়ার প্লেতে রান চলে আসে বিনা উইকেটে ৭৯।
লঙ্কানদের ধারাবাহিকতা থামিয়েছেন মোহাম্মদ নবি। নিজের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই লঙ্কান অধিনায়ককে ফেরান তিনি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে লাহিরু থিরিমান্নেকে নিয়ে দলের হাল ধরেন কুশল পেরেরা। গড়েন ৫২ রানের দারুণ এক জুটি। এ জুটিও ভাঙেন নবি। থিরিমান্নেকে বোল্ড করেন তিনি। কিন্তু এরপর যা করলেন নবি, তা দারুণ চমৎকারই বটে। শ্রীলঙ্কার আরেক সেরা ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিসকে তো আউট করেনই, ফিরিয়ে দেন সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজকে। দুজনকেই স্লিপে রহমত শাহর তালুবন্দি করান নবি। লঙ্কানরা ২ রানে হারায় ৩ উইকেট। ১ উইকেটে ১৪৪ রান তোলা দলটি পরিণত হয় ৪ উইকেটে ১৪৬ রানে।
নবির দেখানো পথে যেন আগ্রাসী হয়ে যান দলের বাকি সবাই-ই। পরের ওভারে আঘাত হানেন পেসার হামিদ হাসান। ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে খালি হাতে ফেরান তিনি।
তবে লঙ্কানরা সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় এর দুই ওভার পরে। এবার রানআউট হন থিসারা পেরেরা। ছন্দে থাকা এ ব্যাটসম্যানকে হারানোয় লেজ বেড়িয়ে আসে দলটির। তবে এক প্রান্তে বুক চিতিয়ে লড়াই করে যান কুশল পেরেরা। লঙ্কানদের বড় ইনিংসের স্বপ্ন ধরে রেখে দারুণ ব্যাটিং করে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু রশিদ খানের বলে হঠাৎ মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন। তার কুইকারে রিভার্স সুইপ করতে গেলে মোহাম্মদ শাহজাদের তালুবন্দি হন কুশল পেরেরা।
ফলে বড় বিপদে পড়ে যায় দলটি। এরপর নামে বৃষ্টি। প্রায় তিন ঘণ্টা বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয় খেলা। তবে কমে আসে ম্যাচের পরিধি। ৪১ ওভার করে খেলা নির্ধারণ করা হয়। ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান করা দলটি পড়ে সুরাঙ্গা লাকমলের ব্যাটে দুইশ রানের কোটা পার করে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন কুশল পেরেরা। ৮১ বলে ৮টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া অধিনায়ক কারুনারাত্নে করেন ৩০ রান। থিরিমান্নে করেন ২৫ রান। আফগানিস্তানের পক্ষে ৯ ওভারে ৩০ রান খরচ করে ৪টি উইকেট নিয়েছেন নবি। ২টি করে উইকেট নেন রশিদ খান ও দৌলত জাদরান।
Comments