টেইলরের মনে হয়েছিল তিনি ঢাকা বা চট্টগ্রামে আছেন

Ross Taylor
ছবি: রয়টার্স

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ এক রান নিলেই তুমুল করতালি। বোলিংয়ে উইকেট ফেললে তো কথা নেই। বাঁধভাঙা উল্লাস। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা। উইকেট, মাঠই কেবল ভিন্ন। পুরো গ্যালারিই বাংলাদেশ। তুমুল উত্তাপ ছড়িয়ে হেরেছেন মাশরাফি মর্তুজারা। প্রবাসী সমর্থকরা আবেগে কেঁপে বেরিয়ে গেছেন। এমন ম্যাচ জিতে নির্ভার কিউই ব্যাটসম্যান রস টেইলর কৃতিত্ব দিলেন বাংলাদেশকেও। আলাদা করে বললেন দর্শকদের কথা।

বাংলাদেশের দেওয়া ২৪৫ রান তাড়ায় চারে নেমে ৯১ বলে ৮২ রানের এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন রস টেইলর। অল্প পুঁজি নিয়ে শুরু থেকেই কিউইদের চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। তবে টেইলর আর কেন উইলিয়মসনের ১০৫ রানের জুটির পর তারা অনায়াসেই জেতার পথে ছিল।

সেই জায়গা থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। খেলা নিয়ে যায় একদম শেষ অবধি। খেলোয়াড়দের লড়াই করার রসদ সারাক্ষণ জুগিয়ে গেছেন সমর্থকরা। প্রতি মুহূর্ত উদ্দীপনায় জাগিয়ে রেখেছেন। এসব দেখে টেইলরের ভ্রম হচ্ছিল, তিনি কোথায় আছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম না-কি ওভালে, ‘আমরা আরও আগেই জিততে চাইছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। তারা কখনোই হাল ছেড়ে দেয়নি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়েছে এবং মানুষের বিপুল সমর্থন ছিল তাদের হয়ে। একটা পর্যায়ে আমার মনে হলো, আমি হয়তো ঢাকা বা চট্টগ্রামে আছি। খেলার দিক বিচার করলে এটা দুর্দান্ত কিছু। এরকমের রোমাঞ্চকর ম্যাচ টুর্নামেন্টের জন্যই ভীষণ ভালো।’

প্রচণ্ড চাপ সয়ে খেলা বের করেছেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। তবে টেইলর মনে করেন জেতার কাজটা করে দিয়েছেন তাদের বোলাররাই, আমার মনে হয় আমরা দুর্দান্ত বল করেছি। ওদের অনেক কম রানে আটকে ফেলেছি। আমরা জানতাম ৫০ ওভার পুরো খেলতে পারলে জেতাটা সহজ হবে। কিন্তু একটা পর্যায়ে উইকেট হারাতে থাকলাম, খেলাটা জটিল হয়ে গেল। কিন্তু শেষ পর্যপ্ত চাপ সামলে কাজটা করতে পেরেছি।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshi killed in Israeli airstrike in Lebanon’s Beirut

Mohammad Nizam, 31, died at 3:23pm in Hazmiye area of Beirut, according to a social media post of Bangladesh embassy in Lebanon

16m ago