সংবর্ধনায় ফুরফুরে ক্রিকেটাররা, মনমরা একজন

যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশন ওয়েলসের ন্যাশনাল এসেম্বলি ভবনে ক্রিকেটারদের সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল। নয়নাভিরাম কার্ডিফ শহরের কার্ডিফ বেতে বিকেলবেলা সেই অনুষ্ঠানে সবারই বেশ ফুরফুরে মেজাজ। তবে একজনের চেহারার জমে থাকা মেঘ আলাদা করে নজর কাড়ল। মুশফিকুর রহিম আনন্দ আয়োজনেও রাজ্যের অন্ধকার মুখে ঝিম মেরে দাঁড়িয়ে রইলেন। তার কারণও অবশ্য আছে।

যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশন ওয়েলসের ন্যাশনাল এসেম্বলি ভবনে ক্রিকেটারদের সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল। নয়নাভিরাম কার্ডিফ শহরের কার্ডিফ বে’তে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলবেলার সেই অনুষ্ঠানে সবারই বেশ ফুরফুরে মেজাজ। তবে একজনের চেহারার জমে থাকা মেঘ আলাদা করে নজর কাড়ল। মুশফিকুর রহিম আনন্দ আয়োজনেও রাজ্যের অন্ধকার মুখে ঝিম মেরে দাঁড়িয়ে রইলেন। তার কারণও অবশ্য আছে।

নিউজিল্যান্ডের কাছে দল হারায় ভক্ত সমর্থকদের কাঠগড়ায় তিনি। কেইন উইলিয়ামসনকে রান আউটের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন। মুশফিকের উইকেটকিপিং নিয়ে তাই ফের উঠেছে প্রশ্ন। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনেও অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজাকে সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে। বরাবরের মতোই অধিনায়ক আগলেছেন তাকে। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও একপাশে গোমড়া মুখে দাঁড়িয়ে থাকা মুশফিকের কাছে গেলেন অধিনায়ক মাশরাফি। কাঁধে হাত রেখে তাকে কিছু একটা বললেন, হয়তো বোঝালেন।

ভাব-সাবে মনে হলো, মনমরা মুশফিককে চাঙ্গা করতে চাইছেন অধিনায়ক। তবে তাতে কতটা লাভ হলো কে জানে। অনুষ্ঠান শেষে এসেম্বলি ভবনের বাইরে নীল জলরাশির অপরূপ সৌন্দর্যে অনেকেই ছবি তুলছিলেন, মুশফিকের মন সেদিকেও থাকল না। আনুষ্ঠানিক দায় সেরে সোজা চলে গেলেন বাসে। মুখে হাসি নেই, সতীর্থদের সঙ্গেও কথা নেই।

আবেগী চরিত্রের মুশফিক যেকোনো ক্ষতই সহজে ভুলতে পারেন না। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে থিতু হয়ে নিজে রানআউট হওয়া আর উইলিয়াসনকে বাগে পেয়ে গড়বড় করার খচখচানিতেই হয়তো ভীষণ আক্রান্ত তিনি।

যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম ক্রিকেটারদের প্রেরণা দিতে এই আয়োজন করেছিলেন। মুশফিক একপাশে বিষণ্ণ থাকলেও হাইকমিশনারের উষ্ণ অভ্যর্থনায় হাসিখুশি ছিলেন বাকিরা। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও। তিনি আবার শুনিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় প্রধানমন্ত্রী কীভাবে ভ্রমণের মধ্যেও দেখলেন সেই গল্প।

যে নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর কার্ডিফ শহরে এসে মুশফিকের এমন দশা, দুই বছর আগে সেই কার্ডিফের মাঠেই কিউইদের রোমাঞ্চকরভাবে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো সেই ঐতিহাসিক ম্যাচও এখানেই। অধিনায়ক মাশরাফি তাই কার্ডিফ ভেন্যু যে তাদের জন্য কতটা পয়া তা শুনিয়েছেন আবার। শনিবার (৮ জুন) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এখানেই কঠিন ম্যাচ। কিন্তু পয়া ভেন্যু বলেই বড় কিছুর আশা বাংলাদেশের। বলা যায় না, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভুলের ক্ষত নিয়ে ছটফট করতে থাকা মুশফিকই হয়ত এই ম্যাচে সব পুষিয়ে দিলেন!

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago