কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ রোহিঙ্গা নিহত

gunfight logo
প্রতীকী ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিহতদের ‘অপহরণকারী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ (৭ জুন) ভোররাত আড়াইটার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পেছনের পাহাড়ের পাদদেশে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন টেকনাফের লেদা  রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আজিজুর রহমানের ছেলে হাবিব (২০), উখিয়ার থাইংখালী ক্যাম্প-১৩ এর নুর মোহাম্মদের ছেলে সামশুল আলম (৩৫) এবং একই ক্যাম্পের মোকতার আহমেদের ছেলে নুরুল আলম (২১)।

বন্দুকযুদ্ধে তিনজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। তারা হলেন কনস্টেবল সৈকত বড়ুয়া, আরশেদুল ইসলাম এবং সেকান্দর।

পুলিশের ভাষ্য মতে, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি দেশীয় তৈরি লম্বা বন্দুক (এলজি), আট রাউন্ড কার্তুজ ও ১১ রাউন্ড খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, কিছুদিন আগে লেদা গ্রাম থেকে এক শিশুকে অপহরণ করা হয়। পরে শিশুটির পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। এ সময় পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের মুখে শিশুটিকে ফেরত দিতে বাধ্য হয় সংঘবদ্ধ অপহরণকারীরা।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত ১২টার দিকে সেই অপহরণকারীদের আটক করতে লেদা ক্যাম্পের পেছনের পাহাড়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রোহিঙ্গা অপহরণকারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশ ও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে অপহরণকারীরা এক পর্যায়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে তল্লাশী করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরি তিনটি লম্বা বন্দুক, আট রাউন্ড কার্তুজ ও ১১ রাউন্ড খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহগুলো কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে টেকনাফ থানায়।

Comments

The Daily Star  | English

Smaller in size, larger in intent

Finance Adviser Salehuddin Ahmed has offered both empathy and arithmetic in his budget speech, laying out a vision that puts people, not just projects, at the heart of economic policy.

9h ago