বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ‘জুজু’ ভারত, শ্রীলঙ্কার পাকিস্তান!
বিশ্বকাপে পাকিস্তান কখনোই হারাতে পারেনি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে। বিশ্ব সেরাদের মঞ্চে নামলেই তালগোল পাকিয়ে ফেলে দলটি। নামের পাশে থাকা ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ তকমা বদলে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান হয়ে যায় ‘প্রেডিক্টেবল’! পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ নিয়ে অবশ্য ততটা উত্তেজনা থাকেনি কখনোই, থাকে না। ‘হাইভোল্টেজ’ বিশেষণের ব্যবহারও হয় কালেভদ্রে। তবে একদিক থেকে ভীষণ মিল রয়েছে দুদলের দ্বৈরথে। বিশ্বকাপে ভারত যেমন পাকিস্তানের জন্য ‘জুজু’ (কল্পিত ভয়), পাকিস্তানও তেমনি শ্রীলঙ্কার জন্য ‘জুজু’!
ইংল্যান্ডের মাটিতেই ১৯৭৫ সালে বসেছিল বিশ্বকাপের প্রথম আসর। সেবারই গ্রুপ পর্বে দেখা হয়েছিল পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার। একপেশে ম্যাচে লঙ্কানদের ১৯২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে আসরের একমাত্র জয় পেয়েছিল ইমরান খানের দল। এরপর বিশ্বকাপে আরও ছয়বার মুখোমুখি হয়েছে দুদল। কিন্তু লঙ্কানদের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। অর্থাৎ, সাতবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে প্রতিবারই বিজয়ীর হাসি হেসেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ আসরে আবার দুবার করে জিতেছিল তারা।
১৯৯২ বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের পথেও লঙ্কান বাধা অতিক্রম করেছিল পাকিস্তান। ৫ বল হাতে রেখে জিতেছিল ৪ উইকেটের ব্যবধানে। এর ১৯ বছর পর আবার দেখা হয় দুদলের। ২০১১ আসরের ম্যাচটা ছিল শ্রীলঙ্কার মাটিতে। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ইউনুস খান ও মিসবাহ-উল-হকের হাফসেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ২৭৭ রান তুলেছিল পাকিস্তান। এরপর জ্বলে উঠেছিলেন দলটির তৎকালীন দলনেতা শহিদ আফ্রিদি। ১০ ওভারে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন মাত্র ৩৪ রান দিয়ে। তাতে স্বাগতিকরা থেমেছিল লক্ষ্য থেকে ১১ রান দূরে।
আট বছর বাদে ফের ক্রিকেটের মহাযজ্ঞে মুখোমুখি অবস্থানে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের লড়াইয়ের মঞ্চ ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ড। ম্যাচ শুরু শুক্রবার (৭ জুন) বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে তিনটায়।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে খেলা ছয় ম্যাচের সবকটিতে জিতেছে ভারত। ১৯৯২ আসরে সর্বপ্রথম দেখা হয়েছিল দুদলের। এরপর ২০০৭ আসর বাদে প্রতিটিতেই পরস্পরকে মোকাবেলা করেছে দুই বৈরি প্রতিবেশী। কিন্তু পাকিস্তানের হারের বৃত্ত ভাঙেনি। বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা রহস্য যেন এটি!
Comments