বিজেপি কর্মীদের মৃতদেহ নিয়ে চরম অরাজকতা
পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত দু’জন বিজেপিকর্মীর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে বিজেপি নেতৃত্ব রাস্তার ওপরই তাদের শেষকৃত্যানুষ্ঠান করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কলকাতা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে বসিরহাটের মিনাখায় এমনই প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট হাসপাতাল থেকে বিজেপির দুই কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। মৃতদেহের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন।
কলকাতার নিমতলা শশ্মানের দাহ করার জন্যই মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার হচ্ছিল। কিন্তু পথেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় রাজ্য পুলিশ।
প্রথমে তাদের বসিরহাটের মালঞ্চ এলাকায় আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে বাধা উপেক্ষা করে মৃতদেহ নিয়ে কলকাতার উদ্দশ্যে রওনা হন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু মিনাখা মোড় নামের স্থানে আরও বিশাল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাফ বাহিনী আটকে দেয় মৃতদেহ বহনকারী গাড়ি।
সাড়ে ৫টা থেকে সেখানে আটকে থাকেন বিজেপি প্রতিনিধি দল। পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক বাদানুবাদ হয়।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ঘটনাকে নজিরবহিনী বলে দাবি করেছেন। তার বক্তব্য, মৃতদেহ বিজেপির কর্মীর। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে তাদের দেহ বিজেপি রাজ্য দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেখানে তাদের শ্রদ্ধা জানানোর পর কলকাতার নিমতলায় মহাশশ্মানে শেষকৃত্যানুষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু পুলিশ বাধা দিচ্ছে। বাধা দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। এধরনের আদেশের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তারা।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যার কিছু আগে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তর ২৪ পরগনায় চার জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে তিনজন বিজেপি এবং এক জন তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই বিজেপিকর্মীদের দুজনের লাশ কলকাতায় শেষকৃত্যাষ্ঠান করতে নিয়ে যাওয়ার পথেই নতুন করে পুলিশের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অচলাবস্থা চলছিল।
এর আগে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিজেপির পাঁচ জন সাংসদ সহ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে যান। একইভাবে সেখানে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করেন। সেখানে রাজ্য সরকারের খাদ্যমন্ত্রী, দমকলমন্ত্রী সহ শীর্ষ তৃণমূল নেতৃত্বও উপস্থিত ছিলেন।
Comments