বিশ্বকাপ বলেই বাংলাদেশকে হারানোর প্রত্যাশা শ্রীলঙ্কার

এক যুগ আগেও শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচ হলে তাতে একচ্ছত্র ফেবারিট গোনা হতো শ্রীলঙ্কাকেই। সময়ের আবর্তে বদলেছে অনেক কিছুই। বর্তমান সময়ে লঙ্কানদের চেয়ে বাংলাদেশই ঢের শক্তিশালী। সাম্প্রতিক সময়ের ফলাফল তাই বলে। সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার ব্রিস্টলে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে ফেবারিট বাংলাদেশই। র‍্যাংকিংয়েও এগিয়ে। কিন্তু তারপরও এ ম্যাচ জয়ের আশাটা জোরালো লঙ্কানদের। কারণ বিশ্বকাপে তাদের বিপক্ষে জয় তো দূরের কথা, লড়াইটাও ঠিক মতো করতে পারেনি টাইগাররা।
ছবি: এএফপি

এক যুগ আগেও শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচ হলে তাতে একচ্ছত্র ফেবারিট গোনা হতো শ্রীলঙ্কাকেই। সময়ের আবর্তে বদলেছে অনেক কিছুই। বর্তমান সময়ে লঙ্কানদের চেয়ে বাংলাদেশই ঢের শক্তিশালী। সাম্প্রতিক সময়ের ফলাফল তাই বলে। সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার ব্রিস্টলে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে ফেবারিট বাংলাদেশই। র‍্যাংকিংয়েও এগিয়ে। কিন্তু তারপরও এ ম্যাচ জয়ের আশাটা জোরালো লঙ্কানদের। কারণ বিশ্বকাপে তাদের বিপক্ষে জয় তো দূরের কথা, লড়াইটাও ঠিক মতো করতে পারেনি টাইগাররা।

লড়াইটা কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না হয়ে বিশ্বকাপে বলেই জয়ের প্রত্যাশা করছেন লঙ্কান দলের ব্যাটিং কোচ জন লুইস। সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, 'শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে ভালো ফলাফল করেছে। কিন্তু আপনি জানেন এটা বিশ্বকাপ। এখানকার পরিস্থিতি ভিন্ন। আপনি দেখবেন বিশ্বকাপ ক্রিকেট দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মতো নয়। কোন সন্দেহ নেই যে আমাদের সামনে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। কিন্তু ড্রেসিং রুমে আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেক আত্মবিশ্বাস রয়েছে এবং জয়ের তাগিদটা রয়েছে। আমরা অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী।'

এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মোট ৪৫ বার ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদের। তার ৩৬টিই জিতেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের জয় মাত্র ৭ বার। কিন্তু এ সবই এখন ইতিহাস। শ্রীলঙ্কার আগের সেই শক্তি এখন অনেকটাই বিলীন। তাদের বিপক্ষে শেষ তিনটি লড়াইয়ে জিতেছে বাংলাদেশই। এশিয়া কাপে ১৩৭ রানের বিশাল জয়। এর আগে নিদাহাস ট্রফিতে দুটি জয়। যদিও সে জয় দুটি টি-টোয়েন্টিতে। কিন্তু এ ফলাফল সাম্প্রতিক সময়ে দুই দলের পার্থক্যের চিত্রটা তুলে ধরে। কিন্তু বিশ্বকাপে আবার এককভাবেই এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। তিনবারের লড়াইয়ে তিনবারই সহজ জয় পেয়েছে লঙ্কানরাই।

২০০৩ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। সেবার চামিন্দা ভাসের হ্যাটট্রিকে দাঁড়াতেই পারেনি টাইগাররা। ম্যাচ হারে ১০ উইকেটে। ২০০৭ সালেও তাদের বিপক্ষে বড় হার দেখে বাংলাদেশ। ১৯৮ রানে জিতেছিল লঙ্কানরা। তবে ২০১৫ সালে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। তাও হারের ব্যবধান ৯২ রানে। তাই অতীত ইতিহাস আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে লঙ্কানদের। দলের ব্যাটিং কোচ জন লুইসও জানেন সে কথা।

তবে বাংলাদেশের বর্তমান দলকে সমীহ করছেন লুইস, 'তারা (বাংলাদেশ) খুব ভালো দল। এতে কোন সন্দেহ নেই। তাদের বিশ্বকাপের সূচনাটা অনেক কঠিন হয়েছে। যে ম্যাচে তারা হেরেছে সে ম্যাচেও তারা খুব ভালো পারফরম্যান্স করেছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে যে কোন দলের জন্য তারা কঠিন প্রতিপক্ষ। আমরা এটা জানি। তবে আমরা নিজেদের দিকে ফোকাস করছি। ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা করছি। প্রতিপক্ষ যতই শক্তিশালী হোক আমাদের নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago