উইন্ডিজের বিপক্ষে টন্টনের ছোট মাঠ ভাবাচ্ছে টাইগারদের
সাম্প্রতিক সময়ের ফলাফল বিবেচনায় শ্রীলঙ্কার চেয়ে ঢের এগিয়ে বাংলাদেশ। তাই তাদের বিপক্ষে ম্যাচ পণ্ড হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ টাইগাররা। সেমি-ফাইনালে যেতে তাই শেষ পাঁচ ম্যাচে চার থেকে পাঁচটি ম্যাচ জিততে হবে তাদের। তার উপর পরের ম্যাচ উইন্ডিজের বিপক্ষে, আর সে ম্যাচটি হবে টন্টনে। স্বাভাবিকের তুলনায় সে মাঠ বেশ ছোট হওয়ায় কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় আছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
টন্টনের মাঠের এক পাশ বেজায় ছোট। সেখানে উইন্ডিজের খেলোয়াড়রা বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন। কারণ শারীরিকভাবে সুঠাম দেহী এ খেলোয়াড়দের মিস হিটও ছয় হয়ে যেতে পারে। তাই বিষয়টি ভাবাচ্ছে মাশরাফিদের। এদিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে টন্টনের মাঠ নিয়ে উদ্বেগ ঝরে মাশরাফির কণ্ঠে, 'টন্টন, হ্যাঁ সেটা অনেক ছোট একটা মাঠ এবং বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সহজ হবে না। আমার ভালো খেলা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই... আমাদের জয়ের কোনো বিকল্প নেই।'
শুধু টন্টনের মাঠ নিয়েই নয়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ না হওয়ায়ও বেশ হতাশ অধিনায়ক, 'সব দলের জন্য মাঠে এসে খেলতে না পারা হতাশাজনক। টুর্নামেন্ট এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সুযোগ পেয়েছিলাম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তেমনটা পারিনি। কিন্তু আজকের দিনটা খুবই হতাশার। আমার মনে হয় সাকিব ঠিক হয়ে যাবে। তবে তার আরও চার-পাঁচ দিন লাগবে সম্পূর্ণ পরিত্রাণ পেতে।'
বিশ্বকাপের আগে প্রায় ২০ বছর কোন আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট ম্যাচ হয়নি টন্টনে। মূলত মাঠের আকৃতির কারণেই এ মাঠে ম্যাচ তেমন হয়না। বিশ্বকাপ এলেই খোঁজ প্রে এ মাঠের। ১৯৮৩ সালে প্রথমবার এ মাঠ ব্যবহার করা হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য। এরপর ১৯৯৯ বিশ্বকাপে হয় দুটি ম্যাচ। তবে মাঝে ২০১৭ সালে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ৮ জুন নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের ম্যাচ দিয়ে আবার ক্রিকেট ফেরে এ মাঠে। আগামীকাল পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়াও নামছে এ মাঠে। আর আগামী সোমবার এ মাঠে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে নামছে মাশরাফিরা।
Comments