‘ছাত্রলীগ করেন কারা, কাদের নিয়ে সংগঠন চলছে’

নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের পদায়নসহ চার দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থানরতদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।
BCL
গত ২৬ মে দিবাগত রাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান করছেন ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের পদায়নসহ চার দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থানরতদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

গতকাল দৈনিক প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে জাহাঙ্গীর কবির নানক এ কথা বলেন।

এ বিষয়ে আজ (১২ জুন) দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে পদবঞ্চিতদের মুখপাত্র ছাত্রলীগের সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, “নানক ভাই আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা, তিনি কী কারণে এমন কথা বলেছেন তা জানি না। ছাত্রলীগে আমরা হয়তো সাবেক, কিন্তু এখানে তো আমাদের সঙ্গে বর্তমান কমিটির নেতারাও রয়েছেন।”

“আমরা তো ছাত্রলীগকে ধারণ করি। দলের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে এবং সৎ সাহসের জোরেই আমরা এখনও এখানে অবস্থান করছি। ছাত্রলীগের নেতারাই বলছেন যে কমিটিতে বিতর্কিতরা রয়েছেন, সেক্ষেত্রে তাদেরকে সংগঠনের লোক হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে কিন্তু আমাদেরকে নয়, এটি কেমন বিষয় হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়”, যোগ করেন তিনি।

বর্তমান কমিটির উপ-ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক তানান বলেন, “নানক ভাই যখন এ ধরনের কথা বলেন তখন সেটি আসলেই আমাদের দুঃখ দেয়। দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আমরা বলতে চাই, ৮-১০ বছরের রাজনীতি করে এখানে আমরা যারা বসে রয়েছি, তাদের নিয়ে তিনি কীভাবে এ ধরনের কথা বলেন? তাহলে নানক ভাইয়ের কাছে আমারও প্রশ্ন- ছাত্রলীগ করেন কারা, কাদের নিয়ে সংগঠন চলছে?”

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচী চলবে জানিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান এই দুই নেতা জানান, আগামীতে অনশন কর্মসূচী, কালো ব্যাজ ধারণ ও কালো পতাকা উত্তোলনের মতো আরও কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করবেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মে দিবাগত রাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান করছেন ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশের সদস্যরা। ৫ জুন পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও তারা সেখানে অবস্থান করেছেন।

তাদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ এবং মধুর ক্যানটিন ও টিএসসিতে পদবঞ্চিতদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার।

আরও পড়ুন:

 
 
 
 
 
 
 

Comments

The Daily Star  | English

The psychological costs of an uprising

The systemic issues make even the admission of one’s struggles a minefield

9h ago