‘সাকিবের একারই ম্যাচ জিতিয়ে দেয়ার সামর্থ্য আছে’

Shakib al hasan
ছবি: রয়টার্স

দুই ম্যাচের মাঝে পাঁচদিনের ব্যবধান। তাই প্রথম দুদিন বিশ্রাম মিলেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পয়েন্ট খোয়ানোর হতাশা ঝেড়ে ফেলে মন-মেজাজ ঠিক করার উপায় খুঁজে নিতে এখন ব্যস্ত তারা। সেই সঙ্গে ভাবতে হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচটি নিয়ে।

ক্যারিবিয়ান শিবিরে পাওয়ার হিটার-ম্যাচ উইনারের অভাব নেই। নিঃসন্দেহে যে কোনো দলের জন্য আতঙ্ক ক্রিস গেইল-আন্দ্রে রাসেলরা। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশকে একই পাল্লায় মাপলেন ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। বুধবার (১২ জুন) বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ব্রিস্টল থেকে টন্টনে পৌঁছানোর পর তিনি জানান, গেইল-রাসেলদের মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও একাই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে গেইল-রাসেল ছাড়াও আছেন শিমরন হেটমেয়ার, এভিন লুইস, শাই হোপরা। নিজেদের দিনে তারা যে কোনো ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন। এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে বাংলাদেশকেও পিছিয়ে রাখতে নারাজ ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ। তার মতে, টাইগার শিবিরেও ম্যাচ উইনারের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। আর আলাদা করে তিনি বলেছেন সাকিবের কথা, যিনি চলমান বিশ্বকাপে আছেন দুরন্ত ফর্মে।

‘শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ না, যে কোনো দলই আমাদের জন্য কঠিন। আমাদের সামর্থ্য আছে। সাকিবের একারই ম্যাচ জিতিয়ে দেয়ার সামর্থ্য আছে। তামিম, মুশফিকও সেটা পারে। কঠিন প্রতিপক্ষকে হারিয়েই আমাদের সামনে যেতে হবে, যদি কোয়ালিফাইংয়ে (সেমিফাইনাল) খেলতে চাই। আমরা সেভাবেই পরিকল্পনা করব। উপরের দিকে যেতে হলে কঠিন পথ পেরিয়েই যেতে হবে।’

আগামী ১৭ জুন টন্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। এই মাঠ আকারে ছোট হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পাবেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা, এমন একটা ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ দলের মধ্যে। খালেদ মাহমুদ অবশ্য এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছেন না।

‘এটা তো ক্রিকেট খেলায় থাকবেই। এটা সবার জন্যই সমান। মাঠ ওদের জন্য যতটুকু, আমাদের জন্যও ততটুকু। ওদের পাওয়ার হিটার আছে আমরা জানি। জোরে বল করে, এমন বোলারও আছে। আমার মনে হয়, এই ব্যাপারে আমরা সজাগ-সচেতন। আমরা জানি কীভাবে ওদের মোকাবেলা করতে হবে। চেষ্টা করব মাঠের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। পরিকল্পনাগুলো প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Smaller in size, larger in intent

Finance Adviser Salehuddin Ahmed has offered both empathy and arithmetic in his budget speech, laying out a vision that puts people, not just projects, at the heart of economic policy.

9h ago