মাতৃভূমির বিপক্ষে খেলার অনুভূতি কি?

জন্ম, বেড়ে ওঠা দুইটাই বার্বাডোজে। অথচ সেই জোফরা আর্চার খেলবেন উইন্ডিজের বিপক্ষে, নিজের মাতৃভূমির বিপক্ষে। কেমন করবেন এ পেসার? এ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। গুঞ্জনও অনেক। ইংল্যান্ড-উইন্ডিজের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছাপিয়ে সবার নজর আর্চারের উপরই। কিন্তু এটাকে খুব বেশি কিছু মনে করছেন না ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। কোনো কিছু কঠিন না বলেই জানালেন তিনি।
ছবি: রয়টার্স

জন্ম, বেড়ে ওঠা দুইটাই বার্বাডোজে। অথচ সেই জোফরা আর্চার খেলবেন উইন্ডিজের বিপক্ষে, নিজের মাতৃভূমির বিপক্ষে। কেমন করবেন এ পেসার? এ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। গুঞ্জনও অনেক। ইংল্যান্ড-উইন্ডিজের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছাপিয়ে সবার নজর আর্চারের উপরই। কিন্তু এটাকে খুব বেশি কিছু মনে করছেন না ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। কোনো কিছু কঠিন না বলেই জানালেন তিনি।

মরগানের চেয়ে ভালো আর কে জানবেন? কারণ আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন তিনি। পরে ইংল্যান্ডে যোগ দিয়ে খেলেছেন মাতৃভূমির বিপক্ষেও। তাই সংবাদ সম্মেলনে সবার উৎসাহের উত্তরটা দেন ইংলিশ অধিনায়ক। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানালেন, 'আমার কাছে কোনো কঠিন লাগেনি (আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে)। অন্য কিছুর চেয়ে এটা ভিন্ন এক ধরণের চ্যালেঞ্জ।'

তাই বলে দেশের বিপক্ষে খেলার আবেগ কি একটুও ছুঁয়ে যাবে না? চোরা-গুপ্তা হামলা কি হবে না? তখন কী করবেন আর্চার। এমন কিছু হলে আর্চার তা ঠিকভাবেই নিয়ন্ত্রণ করবেন বলে বিশ্বাস করেন মরগান, 'জোফরা অনেক দিন থেকেই ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে যাচ্ছে, সাসেক্স থেকেই। এটা খুব ভালো যে, সে ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেলছে। এটা ভিন্ন অনুভূতি এনে দেয়। এমন একটা দলের বিপক্ষে প্রথমবার খেলতে যাচ্ছে যে দলের হয়ে সে আগেও খেলেছে। আমি নিশ্চিত সে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করবে।'

অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ ক্যারিবীয় দলের হয়ে প্রায় নিয়মিতই খেলেছেন আর্চার। খেলেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপও। কিন্তু হঠাৎ করেই  ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার প্রস্তুতি নিতে থাকেন। তিন বছরের মাথায় জায়গাও পেয়ে যান ইংলিশ দলে। বিশ্বকাপের মাত্র ৭ দিন আগে ইংলিশ জার্সিতেই আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। এরপর বিশ্বকাপে ইতোমধ্যেই ৩ ম্যাচে গড়ে ৯০ দশমিক ৬ মাইল বেগে বল ছুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন এই পেসার।

বাবা ইংলিশ অভিবাসী, মা বার্বাডোজের। তবে বাবার ইচ্ছায় ইংলিশ দলে খেলছেন না তিনি। মূলত বন্ধু ক্রিস জর্ডানের উৎসাহেই ইংলিশ ক্রিকেটার আর্চার। তার মতোই বার্বাডোজে জন্ম নিলেও খেলেছেন ইংল্যান্ডের হয়ে। ইংলিশ জার্সিতে ৮ টেস্ট, ৩১ ওয়ানডে ও ৩৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তবে উইন্ডিজের হয়ে তেমন না খেলায় তাকে নিয়ে মাতামাতি হয়নি। ২০১৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ক্যারিবীয় দলে ডাক না পেয়ে আক্ষেপে ও হতাশায় মুষড়ে পড়েছিলেন আর্চার। তখন তার পাশে ছিলেন বন্ধু জর্ডান। সাহস দিয়েছেন। তার ধারাবাহিকতায় আজ ইংলিশ দলে আর্চার।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago