অনলাইন কেনাকাটায় ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ

Ecommerce
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অনলাইন শপিংয়ের জন্যে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

এক বছর আগে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে তা ‘ভুলবশত ছাপা হয়েছে’ বলে আবার তুলে নেওয়া হয়। তবে এবার সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভার্চুয়াল বিজনেসের জন্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছর আলাদা ব্যাখ্যা দিলে তাদেরকে সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভার্চুয়াল বিজনেসের বাইরে রাখা হলেও এবার আর তেমন কিছুই নেই। তাতে করে খুব সহজেই তারা ভার্চুয়াল বিজনেস ক্যাটাগরিতে পড়ে যাবেন।

ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি আসিফ আহনাফ বলেন, “সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাট অবশ্যই এই খাতের জন্যে খুবই বেশি।”

”আমরা এখনো প্রত্যাশা করি সরকার ই-কমার্সকে ভার্চুয়াল বিজনেসের বাইরে রাখার পাশাপাশি ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমাদেরকে ভ্যাটের বাইরে রাখবে।”

তার প্রশ্ন, সরকার যেখানে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোর জন্যে একশ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রেখেছে সেখানে ই-কমার্স কোম্পানিকে কোনো বাড়তে বাধা দেওয়া হচ্ছে?

অনলাইন শপ আজকের ডিলের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও একেএম ফাহিম মাশুরুর মনে করেন, এই পদক্ষেপ সরকার ঘোষিত ডিজিটালাইজেশন প্রতিশ্রুতির বিপক্ষে যাবে।

“শপিং মলের দোকানগুলো যেখানে অনেকটাই ভ্যাটের বাইরে থাকে সেখানে ডিজিটাল কেনাকাটার ওপর এমন ভ্যাট মানুষকে ডিজিটালি কেনাকাটা করতে নিরুৎসাহিত করবে,” বলছিলেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়ার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সাবেক সভাপতি ফাহিম।

বর্তমানে প্রায় এক হাজার ই-কমার্স কোম্পানি দেশে ব্যবসা পরিচালনা করছে এবং তাদের বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ দুই হাজার কোটি টাকা।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Bank signals market-based exchange rate regime

The central bank will allow the exchange rate of the dollar to be determined by market forces

46m ago