জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রাতের আঁধারে প্রতিমা ভাংচুর, আটক ৫

চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার দাসপাড়ায় কালী মন্দিরের আসবাবপত্র ও বেশ কয়েকটি দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল দিবাগত রাত ২টার পর এ ঘটনা ঘটে।
chandpur
১৩ জুন ২০১৯, চাঁদপুরে কালী মন্দিরের আসবাবপত্র ও বেশ কয়েকটি দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। ছবি: স্টার/আলম পলাশ

চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার দাসপাড়ায় কালী মন্দিরের আসবাবপত্র ও বেশ কয়েকটি দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল দিবাগত রাত ২টার পর এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আজ (১৪ জুন) সকালে পুলিশ সন্দেহভাজন পাঁচজনকে আটক করেছে। এরা হলেন- ফরিদুল ইসলাম দিদার (৪০), রাজু দিদার (৩০), ইদ্রিস দিদার (৩৫), আতিকুর রহমান (৪০) ও আব্দুল আলী (৩২)। এদের সবার বাড়ি পুরানবাজার দাসপাড়া কালী মন্দিরের পাশে অবস্থিত।

দাসপাড়া কালী মন্দির কমিটির সদস্য সন্তোষ দাস জানান, মন্দিরের পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী বাসেত চৌধুরী, আবদুল কাদের মিজি ও খোরশেদ আলম গংদের সঙ্গে সাড়ে ১০ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। 

সন্তোষ দাসের অভিযোগ, উল্লেখিত ব্যক্তিরাই রাতের আধারে পরিকল্পিতভাবে মন্দিরের আসবাবপত্র ও প্রতিমা ভাঙচুর করে অন্যত্র ফেলে দেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। খবর পেয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান ও পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, “বহুবছর আগে তৎকালীন বাসিন্দা চপলা রানী দাস (স্বামী প্রাণ কৃষ্ণ দাস) এই মন্দিরের জন্য সাড়ে ১০ শতাংশ জমি দান করেন। কিন্তু, প্রতিবেশী বাসেত চৌধুরী ও আবদুল কাদের মিজি জাল দলিলের ভিত্তিতে এই জমি তাদের বলে দাবি করেন। যা নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, এই জমি চপলা রাণী দাস কাউকে দান করেননি। এটি বিক্রি করে গেছেন। আজ সকালে এ নিয়ে সালিশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তার আগেই রাতের আধারে কে বা কারা ভাংচুরের ঘটিয়ে উত্তেজনা তৈরি করে। এ নিয়ে ভোর ৫টা থেকে বিক্ষুব্ধ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা সড়ক অবরোধ ও মিছিল করেছেন। খবর পেয়ে পুরানবাজার ফাঁড়ির এসআই পলাশ বড়ুয়াসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিম উদ্দিন বলেন, “আমরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে এমন পাঁচজনকে আটক করেছি। তবে, এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ বা মামলা দায়ের হয়নি।”

এদিকে, মন্দিরে ভাংচুরের খবর পেয়ে আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর-৩ আসনের সাংসদ ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Half of Noakhali still reeling from flood

Sixty-year-old Kofil Uddin watched helplessly as floodwater crept into his home at Bhabani Jibanpur village in Noakhali’s Begumganj upazila on August 10. More than a month has passed, but the house is still under knee-deep water.

4h ago