চা শ্রমিক সন্তানদের জন্য কোটা দাবি

পিছিয়ে থাকা চা শ্রমিকের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে চা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বশীল নেতৃবৃন্দ ও সিলেটের সুশীল সমাজ।
Tea Worker Childrens
১৫ জুন ২০১৯, চা শ্রমিকের সন্তানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা বরাদ্দের দাবিতে সিকৃবির সিন্ডিকেটের সদস্য ও সাংসদ মো. আব্দুস শহীদের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। ছবি: স্টার/মিন্টু দেশোয়ারা

পিছিয়ে থাকা চা শ্রমিকের সন্তানদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে চা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বশীল নেতৃবৃন্দ ও সিলেটের সুশীল সমাজ।

আজ (১৫ জুন) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সিন্ডিকেটের সদস্য ও সাংসদ মো. আব্দুস শহীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও পেশ করেছেন তারা।

এ সময় আব্দুস শহীদের বাসভবনে উত্তরণ বাংলাদেশ ও চা ছাত্র যুব পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় কালীঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রাণেশ গোয়ালার বলেন, “বাংলাদেশের মধ্যে সিলেট বিভাগ শিক্ষায় পিছিয়ে থাকার অন্যতম প্রধান কারণ চা জনগোষ্ঠী। সিলেট বিভাগের চা বাগানগুলোতে শিক্ষার দুরবস্থা দেখলে এটি স্পষ্ট হয়।”

সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চা শ্রমিক সন্তানদের বিশেষ কোটা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সিলেটের পরিচয় হচ্ছে চা বাগান। কিন্তু, এই চা চাষের শ্রমিকরা দেড়শ বছর ধরে যাপন করছে মানবেতর জীবন। তাদের সন্তানরাও পাচ্ছে না উপযুক্ত শিক্ষার সুযোগ। এ থেকে উত্তরণের মূল উপায় হচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা।”

স্বপ্নকুঁড়ি সমাজ কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিজয় রুদ্র পাল বলেন, “অনেক আন্দোলনের পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা পদ্ধতি চালু হয়। চা শ্রমিকদের মেধাবী নারী শিক্ষার্থীদের জন্য এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন বিশেষ কোটা পদ্ধতি চালু করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটি অফ বিজনেস এগ্রিকালচারাল এন্ড টেকনোলজিতেও গত শিক্ষাবর্ষ থেকে চা শ্রমিক সন্তানদের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু হয়েছে। সিকৃবিতে একই দাবীতে আমরা এসেছি।”

উত্তরণ বাংলাদেশের সভাপতি মিঠুন কুর্মী বলেন, “চা জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নাই। এ জন্যই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কোটা পদ্ধতি চালু হয় তাহলে চা শ্রমিক সন্তানদের শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করি।”

চা ছাত্র যুব পরিষদের সভাপতি আহ্বায়ক প্রদীপ পাল বলেন, “চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরী ১০২ টাকা। এ অর্থ দিয়ে মৌলিক অধিকারই পূরণ করা সম্ভব নয়। যার কারণে শিক্ষায় চা শ্রমিকরা এত পিছিয়ে।”

স্মারকলিপি গ্রহণকালে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মো. আব্দুস শহীদ বলেন, “কাউকে পিছনে ফেলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব নয়। এ জন্যই আমরা চা শ্রমিক সন্তানদের জন্য বিশেষ কোটা চালু করার বিষয়ে বিভিন্ন সভায় আলোচনা করবো।”

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago