সীমান্তে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু’র সংখ্যা কিছু বেড়েছে: বিএসএফ মহাপরিচালক
সীমান্ত হত্যাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু’ হিসেবে উল্লেখ করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালক (ডিজি) রজনীকান্ত মিশ্র বলেছেন , চলতি বছরে এ ধরনের ঘটনা বেড়েছে।
আজ (১৫ জুন) রাজধানীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদর দপ্তরে মহাপরিচালক পর্যায়ের এক সীমান্ত বৈঠকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “হত্যাকাণ্ড শব্দের সঙ্গে আমি একমত নই। সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হচ্ছে। আমি স্বীকার করছি যে, সাম্প্রতিক সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর সংখ্যা কিছু বেড়েছে।”
বৈঠকে বিজিবির মহাপরিচালক মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল ও বিএসএফের মহাপরিচালক নেতৃত্বে ১০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
সেখানে বিএসএফের মহাপরিচালক দাবি করেন, গত বছর ভারতীয় ভূমিতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি, ছয়জন ভারতীয়।
তার এই দাবি বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সংগঠনটির হিসাবে, গত বছর সীমান্তে কমপক্ষে ১৫ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও, সর্বশেষ গত পাঁচ মাসে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে।
বিএসএফের মহাপরিচালক জানান, মানুষের জীবন তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে সীমান্তে মারণাস্ত্র ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত রয়েছে তাদের।
তিনি বলেন, “বিএসএফকে এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবে, পরিস্থিতি মাঝেমধ্যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। দুর্বৃত্তরা বিএসএফের ওপর পাথর ছুড়েছে, লাঠিপেটা করেছে, কখনও কখনও দা দিয়ে হামলা করেছে। কোনো বিকল্প না থাকায় প্রাণে বাঁচতে খুব অল্প কিছু ঘটনায় বিএসএফ মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।”
সীমান্ত হত্যা বিষয়ে বিজিবির মহাপরিচালক মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, “গত বছরের তুলনায় এ বছর সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা উদ্বেগ জানিয়েছি।”
তিনি আরও জানান, এ বছর সীমান্তে আটটি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে এবং এ সংখ্যা যাতে আর না বাড়ে সে বিষয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী একটি চুক্তিতে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে।
Comments