মাশরাফির সমালোচনাকারীরা নিজেরা জীবনে কি করেছেন, প্রশ্ন তামিমের
ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার অজিত আগারকার কদিন আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজাকেই বসিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অধিনায়কের পারফরম্যান্স প্রত্যাশার কাছাকাছি না হওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকে সমালোচনা মুখর। আগারকারের নাম না নিয়ে তামিম ইকবাল দিলেন কড়া জবাব। দেশের মানুষকেও মাশরাফির অবদান স্মরণ করার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্বকাপে এই পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, আরেক ম্যাচ ভেসেছে বৃষ্টিতে। ওই দিন ম্যাচে নিজেদের সামর্থ্যের কাছাকাছি করতে পারেননি মাশরাফি বা তামিম কেউই। দুই ম্যাচে বোলিং কোটা পূরণ করেননি অধিনায়ক। যদিও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাতাসের বিপক্ষে বল করে জুতসই ছিল তার পারফরম্যান্স। তিন ম্যাচে থিতু হয়েও তামিম ফেরেন ১৬, ২৪ আর ১৯ রানে।
দলের সিনিয়র ক্রিকেটার, সেরা তারকা হওয়া সত্ত্বেও তাদের নিয়ে তেতো কথার কলরোল উঠছে। টন্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নামার আগে ফুরফুরে মেজাজে প্রস্তুতি সারার পর তামিম এসব সমালোচনাকারীদের কড়া জবাবই দিলেন, ‘কথাটা বলে কারা। এটা হলো গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমার কথাটা বাদ দেই, মাশরাফি ভাইয়ের কথাটাই ধরি। যারা এটা নিয়ে লিখছে বা আলোচনা করছে। তারা ওটা লেখার আগে বা বলার আগে যদি দুইটা মিনিট একটু চিন্তা করে যে আমি কার ব্যাপারে বলছি। সে কি করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য গত ১৫-১৬ বছর ধরে।’
‘এখন বলতে পারেন সে তো আনফিট। সে যদি আনফিট হয় তাহলে ১০ বছর থেকেই তো আনফিট। তখন কিন্তু ইমোশনালি নিয়েছি। এখন একটু উনিশ বিশ হচ্ছে বলে এটাকে অনেক বড় করে দেখছি। কাজেই এমন একটা ব্যক্তির ব্যাপারে আমরা কথা বলছি যে ওই ব্যক্তির হাত ধরেই কিন্তু আমাদের এখানে আসা। দল হিসেবে, ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও।’
তামিমের মতে মাশরাফি দেশের ক্রিকেটের জন্য যা করেছেন, তার তুলনায় বরং আরও সম্মান পাওয়া উচিত ছিল তার, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক আমার কাছে মনে হয়। কারণ উনি যা করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য। উনার ব্যাপারে এইরকমের মন্তব্য করা এবং এসব নিয়ে আলোচনা করে আসলে খুব অন্যায্য। আমার মনে হয় উনি যা পাচ্ছেন তারচেয়ে বেশি শ্রদ্ধার দাবি করেন।’
এরপরই আসে আগারকারের কথা প্রসঙ্গ। নাম উল্লেখ না করে আগারকারের ক্যারিয়ারের দিকে ইঙ্গিত করে তামিম দিলেন সে জবাব, ‘বিদেশি কিছু কিছু ক্রিকেটাররা কথা বলেছেন শুনেছি। আমার প্রশ্ন হলো ওরা নিজেদের জীবনে কি করেছেন। নিজে কি এমন করেছেন যে এভাবে বলছেন।’
তবে বাইরের মানুষের কথায় কান দিতে চান না তামিমরা। দেশের যারা আগারকারের কথায় সায় দিচ্ছেন তাদেরকে একটু পেছনে ফিরে তাকাতে বললেন তামিম, ‘বাইরের মানুষ কি বলছে এটা গুরুত্বপূর্ণ না। তারা তাদের মতো মতামত দিতে পারে। কিন্তু দেশের মানুষজনের বোঝা উচিত যখন মাশরাফি মর্তুজা নিয়ে কথা বলছি, ভাবতে হবে সে কত কি করেছে দেশের জন্য।’
‘একটা খেলোয়াড়ের জীবনে ভাল খেলবে, খারাপ খেলবে। খালি আপনি ভাল খেললেই ভাল খেললেই সঙ্গে থাকতে হবে তা না, খারাপ করলেও তো থাকতে হবে। দলের এগারো জনই কিন্তু ভাল খেলে না। এমনকি যে দল চ্যাম্পিয়ন হবে ওই দলের এগারোজন খেলোয়াড়ই ভাল খেলবে না।’
Comments