তামিমের পর ছয় হাজারে সাকিব
বাংলাদেশের ক্রিকেটের নানান মাইলস্টোনে দুজনের কাছাকাছি পথচলা। আরও একটি মাইলফলকে তামিম ইকবালের ঠিক পরই পৌঁছালেন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডেতে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে স্পর্শ করেছেন ছয় হাজার রান। কাকতালীয়ভাবে তখন উইকেটের আরেকপাশেই তার সঙ্গী তামিম।
ওশান থমাসকে থার্ড ম্যানে ঠেলে দিয়ে দুই রান নিয়ে সাকিব পৌঁছান ছয় হাজারে। ছুটে এসে অভিনন্দন জানান তামিম। বড় রান তাড়া আর বিশ্বকাপের পরের ধাপের আশা বাঁচিয়ে রাখতে তখনও বাংলাদেশের সামনে কঠিন পথ। সেই পথ পাড়ি দিতে দল চেয়ে আছে এই দুজনের দিকে। তাদের জুটিও জমে উঠেছে বেশ। জুটিতে পঞ্চাশ রান উঠিয়ে তারা দিচ্ছেন বড় কিছুর আভাস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সোমবার (১৭ জুন) টন্টনে ৩২২ রান তাড়ায় আগ্রাসী শুরু করেছিলেন সৌম্য সরকার। ২৩ বলে ২৯ করে তিনি ফেরার পর তামিমের সঙ্গে যোগ দেন সাকিব। মাঠে বৃষ্টির কিছু আভাস দেখতেই ডি/এল মেথডের সুবিধা পেতে আক্রমণাত্মক অ্যাপ্রোচ দেন তিনি। তাতে ফলও মিলছে ভালো। দলের রান বাড়ছে তরতরিয়ে। সময়ের সঙ্গে মানিয়ে পুরো প্রাধান্য নিয়ে খেলছেন ওয়ানডের শীর্ষ অলরাউন্ডার।
ছয় হাজার রানে যেতে সাকিবের লাগল ২০২ ম্যাচ। এতদিনে ১৯৭ ম্যাচেই তামিম চলে গেছেন সাত হাজারের কাছে (এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত ৬ হাজার ৭১১)। তবে ক্যারিয়ার গড় (৩৬.৬৬) আর স্ট্রাইক রেটে (৮২.০৯) এগিয়ে আছেন সাকিব। বাঁহাতি তারকা অবশ্য আগে বেশিরভাগ সময় নামতেন পাঁচ-ছয় নম্বরে। সেসব পজিশনে বড় রান করার সুযোগ ছিল কম। বছরখানেক ধরে নিজেকে তিন নম্বরে উঠিয়ে আনার ফল সাকিব পাচ্ছেন হাতেনাতে। এই পজিশনে এই পর্যন্ত তার বিস্ময়কর সাফল্য। এবারের বিশ্বকাপে এই পজিশনে নেমে এখন পর্যন্ত সেরা তিন রান সংগ্রাহকের মধ্যে আছেন সাকিব।
প্রথম তিন ম্যাচে দুই ফিফটি আর এক সেঞ্চুরিতে সাকিব করেন ২৬০ রান। দলের ভীষণ প্রয়োজনে নেমে এই ম্যাচেও রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ছয় হাজার রান স্পর্শ করার সময় অপরাজিত ছিলেন ১৯ বলে ২৪ রান করে।
এক নজরে সাকিবের ছয় হাজার:
০ থেকে ১০০০: ৩৮ ইনিংস
১০০১ থেকে ২০০০: ৩১ ইনিংস
২০০১ থেকে ৩০০০: ৩৬ ইনিংস
৩০০১ থেকে ৪০০০: ৩১ ইনিংস
৪০০১ থেকে ৫০০০: ৩২ ইনিংস
৫০০১ থেকে ৬০০০: ২২ ইনিংস।
Comments