৩২২ রান দেখেও বাংলাদেশের ড্রেসিং রুম ছিল নির্ভার, ফুরফুরে

লক্ষ্যটা ৩২২। ওয়ানডেতে এর আগে এত রান তাড়া করে কখনোই জেতেনি বাংলাদেশ। অথচ এত বড় লক্ষ্য পেয়েও ইনিংস বিরতিতে বাংলাদেশের ড্রেসিং রুম না-কী ছিল নির্ভার! ক্রিকেটাররা ছিলেন ফুরফুরে মেজাজে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দেওয়ার পর এমনটাই জানালেন ম্যাচ সেরা সাকিব আল হাসান।
Shakib Al Hasan
ছবি: রয়টার্স

লক্ষ্যটা ৩২২। ওয়ানডেতে এর আগে এত রান তাড়া করে কখনোই জেতেনি বাংলাদেশ। অথচ এত বড় লক্ষ্য পেয়েও ইনিংস বিরতিতে বাংলাদেশের ড্রেসিং রুম না-কী ছিল নির্ভার! ক্রিকেটাররা ছিলেন ফুরফুরে মেজাজে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দেওয়ার পর এমনটাই জানালেন ম্যাচ সেরা সাকিব আল হাসান।

টন্টনে সোমবার (১৭ জুন) ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আগে ব্যাট করতে পাঠিয়ে ৩২২ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। ওই রান তাড়ায় ৯৯ বলে ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সাকিব। লিটন দাস অপরাজিত থাকেন ৬৯ বলে ৯৪ রানে। তৃতীয় উইকেটে দুজনে মিলে ১৮৯ রানের জুটিতেই শেষ করে দেন খেলা। এদিন ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শরীরী ভাষা ছিল আগ্রাসী। কেন সেটা, তার কারণ জানা গেল সাকিবের কাছে।

এমনিতেই বিশ্বকাপের ম্যাচ। হারলেই টুর্নামেন্টের পরের ধাপে যাওয়ার আশা কার্যত শেষ। পাহাড়সম চাপ থাকাটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সাকিব জানালেন, এক মুহূর্তের জন্যও নেতিবাচক কিছুই ভাবেননি তারা। আর ওটাই খেলাটাকে করে দেয় সহজ, ‘প্রথম ইনিংসের পর ড্রেসিং রুমে কেউ অনুভব করে নাই যে এটা কঠিন হবে। সবাই স্বচ্ছন্দে ছিল, মজা করছিল। ড্রেসিং রুমে আত্মবিশ্বাস ছিল চূড়ায়। আমরা বিশ্বাস করেছি যে, এই রান তাড়া করা সম্ভব। ওপেনাররা যখন ভালো শুরু পেল, সবাই বেশ নির্ভার হয়ে যায়। এটা আমাদের আসলে সাহায্য করেছে। কাজেই কোনো এক মুহূর্তের জন্যও আমরা আতঙ্কিত হইনি। এটা হচ্ছে এই রান তাড়ার সেরা দিক।’

৪ ম্যাচে ৩৮৪ রান করে সাকিব এখন টুর্নামেন্টের সেরা সংগ্রাহক। কোনো ম্যাচের পঞ্চাশের নিচে আউট হননি। করেছেন টানা দুই সেঞ্চুরি। নিজের ব্যাটিং নিয়ে তৃপ্তিও আছে তার। তবে এমন অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতাই রাখতে মরিয়া তিনি, ‘আমি ভালো ব্যাট করেছি। জানি না এটাই সেরা কী-না। এই পর্যন্ত দারুণ যাচ্ছে, আশা করছি চালিয়ে যেতে পারব।’

Comments