আরও বড় কিছুর আশায় নটিংহ্যামে বাংলাদেশ
মনের গভীরে কালো মেঘ নিয়ে ব্রিস্টল থেকে টন্টনে গিয়েছিল বাংলাদেশ। মাথার উপর ছিল পাহাড়সম চাপ। সে চাপ ডিঙিয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে জেতার পর বেঁচেছে সেমিফাইনালের আশা। সেই পথে সামনে এবার অস্ট্রেলিয়া। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দেওয়ার সাহস নিয়ে, ফুরফুরে মেজাজে টন্টন থেকে নটিংহ্যামে পৌঁছেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল ১১টায় টন্টন থেকে নটিংহ্যামে যাত্রা করে বাংলাদেশ। নটিংহ্যামে পৌঁছে পার্ক প্লাজা হোটেলে উঠেছেন ক্রিকেটাররা। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নামবে টেবিলের পাঁচে থাকা বাংলাদেশ।
গেল সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩২২ রানের লক্ষ্যে সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরি আর লিটন দাসের তাণ্ডবে ৫১ বল হাতে রেখে জিতে যায় বাংলাদেশ। গত কয়েক মাসে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে নয়বারের দেখায় সাতবারই জিতেছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের পক্ষেই পাল্লা ছিল ভারী। তবে সেমিফাইনালের পথ হিসেবে অনেকটা বাঁচা-মরার লড়াই হওয়ায়, চ্যালেঞ্জটা ছিল কঠিন। সেই চ্যালেঞ্জে বাংলাদেশ যেভাবে জিতেছে, তাতেই ছড়িয়েছে নতুন বার্তা।
ক্যারিবিয়ান পেসারদের পাত্তা দেয়নি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তবে অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা আরও দুর্ধর্ষ। গতি আর প্রখর বুদ্ধিতে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেন তারা। ৯৯ বলে ১২৪ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলের জয়ের নায়ক সাকিব অবশ্য জানিয়েছেন অসি পেসারদের মোকাবেলায় পুরোপুরি তৈরি তারা, ‘গত চার ম্যাচেই আমরা সেরাদের কাতারের সব পেসারদের বিপক্ষে খেলেছি। প্রতি ম্যাচেই প্রতিপক্ষ দলে অন্তত এমন দুইজন বোলার ছিল, যারা ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করে। আমরা একদমই ভালো মানিয়ে নিয়েছি।’
‘আমাদের তাই দুর্ভাবনা নেই (অস্ট্রেলিয়ার পেস নিয়ে)। আমরা ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজকে খেলেছি। ১৪০-১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করা পেসার ছিল দুই দলেই। আমাদের স্রেফ মৌলিক বিষয়গুলো ঠিক রাখতে হবে। আমরা দল হিসেবে বেশ দক্ষ এবং সব চ্যালেঞ্জের জবাব দিতেও যথেষ্ট সমর্থ।’
Comments