অধিনায়কের সমর্থন পাচ্ছেন খরুচে বোলিংয়ে রেকর্ড গড়া রশিদ

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের ছায়া হয়েও থাকতে পারেননি রশিদ খান! বিশ্বকাপে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের লজ্জার রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার। দুঃসহ অভিজ্ঞতার স্বাদ নেওয়া তরুণ তারকা অবশ্য সমর্থন পাচ্ছেন দলের অধিনায়কের। গুলবাদিন নাইব জানিয়েছেন, এমন ঘটনা যে কারও সঙ্গেই ঘটতে পারে।
rashid khan and gulbadin naib
ছবি: এএফপি

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের ছায়া হয়েও থাকতে পারেননি রশিদ খান! বিশ্বকাপে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের লজ্জার রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার। দুঃসহ অভিজ্ঞতার স্বাদ নেওয়া তরুণ তারকা অবশ্য সমর্থন পাচ্ছেন দলের অধিনায়কের। গুলবাদিন নাইব জানিয়েছেন, এমন ঘটনা যে কারও সঙ্গেই ঘটতে পারে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথম ৫ ওভারে রশিদ দেন ৩৬ রান। কিন্তু ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষে আফগানিস্তানের বোলিংয়ের স্কোরকার্ড বলল, ৯ ওভারে ১১০ রান দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ রশিদের পরের ৪ ওভার থেকেই ইংল্যান্ড আদায় করে নেয় ৭৪ রান! ওপর এতটাই চড়াও হয়েছিল ইংলিশরা যে, পাড়ার বোলার বলেই মনে হচ্ছিল তাকে।

ওভারপ্রতি ১২.২২ গড়ে রান দিয়েছেন রশিদ। সবমিলিয়ে মোট ১১টি ছক্কা হজম করেছেন তিনি। যার ৭টিই মেরেছেন ইংল্যান্ডের দলনেতা ইয়ন মরগান। পরিসংখ্যান বলছে, তিনটিই ঘটনাই জায়গা করে নিয়েছে রেকর্ড বইতে।

এত দিন বিশ্বকাপে সবচেয়ে খরুচে বোলারের নামটা ছিল মার্টিন স্নেডেনের। ১৯৮৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ১০৫ রান খরচ করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের এই পেসার। তিনি অবশ্য বোলিং করেছিলেন ১২ ওভার।

রশিদ অবশ্য আরেক দিক থেকে নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন! ৯ ওভার বোলিং করেছেন। কোটা পূরণ করেননি। আর মাত্র ৪ রান দিলেই ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ডটা লেখা হয়ে যেত তার নামের পাশে। ১১৩ রান দিয়ে যে রেকর্ডটি নিজের করে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার মিক লুইস। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০ ওভারে এই রান দিয়েছিলেন তিনি।

তবে ওয়াহাব রিয়াজের সঙ্গে খরুচে বোলিংয়ের তালিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন রশিদ। ২০১৬ সালে এই ইংলিশরাই পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসারের ১০ ওভার থেকে তুলে নিয়েছিল ১১০ রান।

রশিদের পারফরম্যান্স নিয়ে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আফগান দলনেতা নাইব জানান, 'আমি খুব বেশি হতাশ নই। কারণ রশিদ বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা স্পিনার। সে একজন তারকা খেলোয়াড়।'

'আর হ্যাঁ, এমনটা ঘটে। শুধু রশিদ না, যে কোনো খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই। আর সবাই জানে রশিদ কতটা ভালো বোলার। আমি মনে করি, আজকের (মঙ্গলবার) দিনটা তার জন্য ভালো ছিল না। ক্রিকেটে আপনি কখনো ভালো করেন, আবার কখনো এরকম কিছু ঘটে। আমি তাকে নিয়ে খুশি। এটা বড় কিছু নয়।'

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago