ট্রেন্ট ব্রিজে মাঠের আকারের কারণে যেভাবে ফিল্ডিং চান মাশরাফি

ইংল্যান্ডে একেক মাঠের আকার একেকরকম। কার্ডিফে যেমন সোজা বাউন্ডারি ছিল কাছে, দুই পাশটা ছিল বেশ বড়। টনটনে দুই পাশটাই ছিল ছোট। ট্রেন্টব্রিজের মাঠের আকার আবার অন্যরকম। একটা দিক ছোট, আবার আরেকদিকে পড়ে আছে বিস্তর জায়গা। মাঠের এমন আকারের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডারদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখছেন অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা।
Bangladesh Team Practice
ট্রেন্ট ব্রিজে অনুশীলনে বাংলাদেশ দল। ছবি: বিসিবি

ইংল্যান্ডে একেক মাঠের আকার একেকরকম। কার্ডিফে যেমন সোজা বাউন্ডারি ছিল কাছে, দুই পাশটা ছিল বেশ বড়। টনটনে দুই পাশটাই ছিল ছোট। ট্রেন্টব্রিজের মাঠের আকার আবার অন্যরকম। একটা দিক ছোট, আবার আরেকদিকে পড়ে আছে বিস্তর জায়গা। মাঠের এমন আকারের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডারদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখছেন অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা।

বিশ্বকাপে এবার ব্যাটে-বলে ঝলক দেখালেও ফিল্ডিংয়ে নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রতি ম্যাচেই হাত ফসকে বেরিয়েছে ক্যাচ। ভুল জাজমেন্টের কারণে এক রানের জায়গায় হয়েছে দুই রান। বাউন্ডারি ঠেকাতেও ক্ষিপ্রতার অভাব দেখা গেছে প্রায়ই।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ডিপ ফিল্ডিংয়ের হতশ্রী দশা দেখা গেছে করুণভাবে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কেন উইলিয়ামসনের রান আউট মিস তো এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আফসোসের নাম। অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাই এই জায়গাকে বাংলাদেশ অধিনায়ক দেখছেন সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে, ‘দেখেন এই টুর্নামেন্টে আমরা ফিল্ডিংয়ের জন্য ম্যাচ জিতেছি, ফিল্ডিংয়ের জন্য ম্যাচ হেরেছি। ফিল্ডিং সব সময় একটা দিক যেটা আপনি চাইলেই উন্নতি করতে পারেন। ফিল্ডিং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ড এরকম দলের বিপক্ষে খেলা হয়। এরা অনেক রান আটকে দেয় ফিল্ডিং দিয়ে। কাজেই আমরা যদি হাত ফসকাই তাহলে সমস্যা হয়ে যাবে।’

ট্রেন্টবিজে ফিল্ডিং কেবল গড়পড়তাভাবে নয়, মাঠের হিসাব মাথায় নিয়েও করতে হবে। দুপুরে অনুশীলনে এসে মাশরাফি আবিষ্কার করেছেন এই মাঠের ফিল্ডিংয়ের কিছু জটিল দিক, ‘এই মাঠের চার পাঁচটা কর্নার আছে। যদি দেখেন কোন দিক ছোট, কোন দিক একটু ঘোরানো গভীর থাকে। ওখানে যদি বলগুলো যায় তাহলে দুইয়ের জায়গায় তিন হওয়ার সুযোগ আছে। ওসব জায়গায় যারা ফিল্ডিং করবে, তাদের মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার থাকবে।’

ম্যাচের আগের দিন দেখেই সব মানিয়ে নেওয়া কঠিন। এক্ষেত্রে ফিল্ডারদের মানসিক দৃঢ়তার উপর আস্থা অধিনায়কের, ‘আসলে একদিনে ঠিক করা কঠিন। কিন্তু মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে ফিল্ডারদের। নিশ্চিত করতে হবে। একের জায়গায় যেন দুই না হয়। দুইয়ের জায়গায় যেন তিন না হয়। ম্যাচে কিন্তু এরকম ২, ৩ রান করে কিন্তু ২৫-৩০ রান বেশি হয়ে যায়।’

‘ইংল্যান্ডের সঙ্গে হয়তবা আমরা ৩৩০-৩৫ তাড়া করতে পারতাম সেটা  ৩৮০ (আসলে ৩৮৬) চলে গেছে। ৩৩০ তাড়া করা আর ৩৭০ তাড়া করা এক জিনিস না। কাজেই ফিল্ডিং খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago