ইরানকে আবারো ‘শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রে’ পরিণত করতে চান ট্রাম্প

ইরানকে ‘আবারো শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রে’ পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে গত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আমেরিকাকে ‘আবারো শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রে’ পরিণত করার ঘোষণা দিয়ে ভোটারদের মন জয় করেছিলেন ট্রাম্প। এবার তিনি ঘোষণা দিলেন ইরানকে ‘শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রে’ পরিণত করার।
Trump and Rouhani
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইরানের রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানি। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

ইরানকে ‘আবারো শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রে’ পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে গত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আমেরিকাকে ‘আবারো শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রে’ পরিণত করার ঘোষণা দিয়ে ভোটারদের মন জয় করেছিলেন ট্রাম্প। এবার তিনি ঘোষণা দিলেন ইরানকে ‘শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রে’ পরিণত করার।

গতকাল (২২ জুন) ক্যাম্প ডেভিডে যাওয়ার আগে ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা দিয়ে বলেন, “আমরা একে বলবো, ইরানকে আবারো শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।”

সেসময় তিনি আরো বলেন যে তার সরকার কূটনৈতিক পথে তেহরানের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে চায়। সেই পথ ধরেই ইরানের ওপর নতুন করে অবরোধ চাপানোর ঘোষণাও দেন তিনি।

পরে ক্যাম্প ডেভিডে পৌঁছে ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় বলেন, “আগামী সোমবার (২৪ জুন) ইরানের ওপর আরো কঠোর অবরোধ আরোপ করতে যাচ্ছি। আমি সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছি যেদিন ইরানের ওপর থেকে সব অবরোধ তুলে নেওয়া হবে এবং তারা আবারো একটি উৎপাদনমুখী ও উন্নত জাতিতে পরিণত হবে।”

গত ২০ জুন ইরান যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন সামরিক গোয়েন্দা ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করায় নতুন এই অবরোধের মুখে পড়তে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি।

এদিকে, ইরানের ফারস বার্তা সংস্থা জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতকে গতকাল ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিলো। কেননা, আমিরাত তাদের ভূখণ্ডে অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটি থেকে ড্রোনটি উড্ডয়নের অনুমতি দিয়েছিলো।

এছাড়াও, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ টুইটারে একটি মানচিত্র প্রকাশ করে জানান যে ড্রোনটি তার ‘দেশের জলসীমার’ ওপর দিয়ে উড়ছিলো।

তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বার্তায় বলেছেন যে ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় উড়ছিলো যে বিষয়ে ‘কোনো সন্দেহ নেই’।

উল্লেখ্য, মার্কিন ড্রোনটিকে ভূপাতিত করার পর ট্রাম্প ইরানকে আক্রমণের নির্দেশ দিয়ে শেষ মুহূর্তে তা তুলে নেন। এরপর উভয় দেশই ‘যুদ্ধের পথে’ না হাঁটার ইচ্ছা প্রকাশ করার পাশাপাশি যে কোনো ‘হুমকি’ ও ‘আগ্রাসন’ ঠেকিয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।

আরো পড়ুন:

ওমান সাগর, হরমুজ প্রণালী এড়িয়ে চলছে সৌদি এয়ারলাইন্স

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago