আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি

dengue
ফাইল ছবি

দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি বেশ আশঙ্কাজনক হয়ে উঠছে। গতমাসের চেয়ে এ মাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ ছাড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ডিজিএইচএস) দেওয়া তথ্য মতে, গত মাসে ১৫৫ জন এবং চলতি মাসের ২৩ জুন পর্যন্ত ৫৮৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছরের মে মাসে ৫২ জন এবং জুন মাসে ২৯৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, জমে থাকা বৃষ্টির পানি, আবহাওয়ার ধরণ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবকে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

গত বছর দেশে ১০ হাজার ১৪৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং এদের মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছিলো ২৬ জনের। ডেঙ্গু আক্রান্তের হারে যা ছিলো রেকর্ড। এর আগে, ২০০২ সালে সার্বোচ্চ ৬ হাজার ২৩২ জন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে রাজধানীতে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার উচ্চমাত্রায় উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ শাখা গত ৩ থেকে ১২ মার্চের মধ্যে রাজধানী ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশনের ৯৭টি ওয়ার্ডের ৯৯৮টি বাড়ি ও ১০০টি স্থান থেকে নমুনা নিয়ে এই জরিপ কাজ পরিচালনা করে।

জরিপে পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, বালতি, নির্মাণাধীন ভবনের খোলা চৌবাচ্চা এবং ফুলগাছের টবের সংগৃহীত পানিতে উচ্চমাত্রায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।

জরিপ অনুসারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৫, ১, ৪, ১৯, ২০, ১৬, ২২ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪১, ১২, ১৭, ৪, ৩৯, ৬, ৭, ১৪, ১৯, ২০, ২১, ২২, ৪৩, ৪৭ এবং ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের পানিতে উচ্চমাত্রার মশার লার্ভা থাকার কথা জানা গেছে।

গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক জানিয়েছেন যে, চলতি বছর সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৮৫৩ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে, ডেঙ্গুর কারণে মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার এবং ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে মৃত্যুহার কম।

এ বছর এপ্রিলে রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন।

(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে নিচের ইংরেজি লিংকে ক্লিক করুন)

Dengue takes alarming turn

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago