ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে অসিদের লড়াইয়ের পুঁজি
দারুণ ছন্দের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এদিনও অস্ট্রেলিয়াকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিলেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। ওপেনিং জুটিতেই আসে ১২৩ রান। তাও ২২.৩ ওভারেই। তাতে মনে হয়েছিল সাড়ে তিনশ রান করা খুব বেশি কঠিন নয় অস্ট্রেলিয়ার জন্য। কিন্তু এরপর ইংলিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তাতো হয়নি, পার করতে পারেনি তিনশ রানের কোটাও। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৮৫ রান তুলেছে দলটি।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২৩ রানের জুটি গড়ে বিশ্বকাপের নতুন রেকর্ড গড়েন দুই অসি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। টানা পাঁচ ম্যাচে করলেন কমপক্ষে অর্ধশত রানের জুটি। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম। এর মধ্যে আবার তিনটি ম্যাচে করেছেন শতরানের জুটি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৯৬ রানের জুটি গড়ার পর উইন্ডিজ ম্যাচে কিছু না করতে পারলেও পরের পাঁচ ম্যাচে আবার কমপক্ষে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার ও ফিঞ্চ। ভারতের বিপক্ষে ৬১, পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪৬, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮০ বাংলাদেশের বিপক্ষে ১২১ রানের জুটি গড়ার পর এদিন গড়েন ১২৩ রানের জুটি।
ওপেনিং জুটি ভাঙার পর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাওজার সঙ্গে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েন ফিঞ্চ। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই আর কোন ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিতে পারায় বড় হয়নি অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০০ রানের ইনিংস খেলেন ফিঞ্চ। ১১৬ বলে ১১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে এটা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৫তম। এবারের বিশ্বকাপে পঞ্চমবারের মতো নিজের পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করেন, যার মধ্যে শেষ চারটি টানা। ওয়ার্নারও করেন আসরের পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি। ৬১ বলে ৫৩ রান করেন তিনি।
এছাড়াও আসরে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে পাঁচশ রানের মাইলফলক স্পর্শ করে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ রানের তালিকার শীর্ষে উঠেছেন ওয়ার্নার। খুব বেশি পিছিয়ে নেই ফিঞ্চও। তিনিও ছাড়িয়েছেন সাকিবকে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এ ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ ৪৯৬ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ২৮৫/৭ (ফিঞ্চ ৫৩, খাওজা ২৩, স্মিথ ৩৮, ম্যাক্সওয়েল ১২, স্টয়নিস ৮, ক্যারি ৩৮*, কামিন্স ১, স্টার্ক ৪; ওকস ২/৪৬, আর্চার ১/৫৬, উড ১/৫৯, স্টোকস ১/২৯, মইন ১/৪২, রশিদ ০/৪৯)।
Comments