নাসিরনগরে দিনদুপুরে জবাই করে হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরের একটি মন্দিরে ঘুমন্ত এক ব্যক্তিকে জবাই করে তার খণ্ডিত মাথা ব্যাগে করে থানায় নিয়ে গেছে ঘাতক।
হত্যার পর লাশের মাথা কেটে নাসিরনগর থানায় নিয়ে যায় ঘাতক। ছবি: স্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরের একটি মন্দিরে ঘুমন্ত এক ব্যক্তিকে জবাই করে তার খণ্ডিত মাথা ব্যাগে করে থানায় নিয়ে গেছে ঘাতক।

নিহত লিটন ঘোষ (৪৮) কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা। লিটন তার ভগ্নীপতি নেপাল ঘোষের বাড়িতে থাকতেন এবং অন্যের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। 

মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের গৌর মন্দির অভ্যন্তরস্থ নাট মন্দিরের ভেতর চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। খণ্ডিত মাথা থানায় নিয়ে যাওয়া ব্যক্তির লবু দাস নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত। তার পুরো নাম নব কৃষ্ণ দাস।

নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন জানান, লবু দাস (৫০) একজন চিহ্নিত মাদকসেবী। সে ভিকটিমকে মন্দিরের ভেতরে দিনদুপুরে জবাই করে খণ্ডিত মাথা একটি ব্যাগে ঢুকিয়ে থানায় হাজির হলে তাকে আটক করা হয়। সে নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ার মৃত পরমানন্দ দাসের ছেলে। তবে কি কারণে লিটনকে হত্যা করা হয়েছে সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

মন্দির কমিটি ও নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ঘটনার আগে লিটন তার ভগ্নীপতির বাড়িতে খাওয়া শেষে গৌর মন্দিরে ঢুকে নাট মন্দিরের মেঝেতে ঘুমচ্ছিল। এ অবস্থায় লবু দাস ধারালো দা দিয়ে ঘুমন্ত লিটনের মাথা কেটে ব্যাগে ঢুকিয়ে হেঁটে থানায় গিয়ে হাজির হয়। পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে জেলহাজতে ঢুকায়। এর আগে সে একজন পুলিশ সদস্যকেও দা দিয়ে কোপানোর চেষ্টা করে।

নিহত লিটন ঘোষের বোন মিনা রাণী ঘোষ জানান, লবু দাস আনুমানিক সাত বছর আগে তার আপন চাচা সাবেক ইউপি সদস্য মতি লাল দাসকে কুপিয়ে খুন করে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বেশ কিছুদিন কারাভোগের পর সম্প্রতি সে জামিনে বেরিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

গৌর মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী বলেন, মাদকাসক্ত লেবু দাস এই নিয়ে দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তার বিচারের পাশাপাশি এলাকায় মাদকের বিস্তার কমাতে পুলিশকে আরও জোর দিতে হবে।

এদিকে বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লিটনের মরদেহ উদ্ধার শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam sons: They used fake pay orders even to legalise black money

Ashraful Alam and Asadul Alam Mahir, two sons of controversial businessman Mohammed Saiful Alam, deprived the state of Tk 75 crore in taxes by legalising Tk 500 crore in undisclosed income, documents obtained by The Daily Star have revealed.

1h ago