পদ্মাসেতুর ১৪তম স্প্যান বসছে আগামীকাল
পদ্মাসেতুর ১৪তম স্প্যান বসছে আগামীকাল (২৯ জুন)। ‘৩-সি’ নম্বর এই স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১৫-১৬ পিলারের স্থাপন করা হবে। বৈরি আবহাওয়া এবং ১৫-১৬ নম্বর পিলারের কাছে পলি জমে থাকার কারণে নির্ধারিত দিনে স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়নি।
এর আগে প্রথমে ২৭ জুন এবং পরে আজ (২৮ জুন) স্প্যানটি বসানোর কথা ছিলো। কিন্তু, প্রতিকূল আবহাওয়া ও পিলারের কাছে পলি জমার কারণে পদ্মা সেতুর ১৪তম স্প্যানটি আজও বসানো সম্ভব হচ্ছে না।
এসব তথ্য দিয়ে পদ্মাসেতুর দায়িত্বশীল একজন প্রকৌশলী আজ সকালে জানান, ইতোমধ্যে পলির স্থান চিহ্নিত করতে সার্ভে শেষে ড্রেজিং শুরু হয়েছে। আগামীকাল সকাল পর্যন্ত এই ড্রেজিং চলবে। পরে সকাল ১০টার পর স্প্যান ওঠানোর কাজ শুরু হবে। আশা করা যাচ্ছে, আগামীকালই স্প্যানটি ওঠানো সম্ভব হবে।
এর আগে গত ২৭ জুন স্প্যানবহনকারী ক্রেনটি কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে রওয়ানা দিয়ে ১৫ নম্বর খুঁটির কাছে নোঙ্গর করে রাখা হয়। কিন্তু, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ে স্প্যানটি রওনা দিতে দেরি হয়। তাছাড়া, ১৫-১৬ নম্বর পিলারের কাছে পলি জমে থাকার কারণে ড্রেজিং করে পলি অপসারণের কাজও চলছে।
ভাসমান ক্রেনটি পলি থাকার কারণে নোঙর করতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই পলি অপসারণ করার পর এটি বসানো হবে। স্প্যানটি পিলারের উপর বসানোর হলে সেতুর ২,১০০ মিটার দৃশ্যমান হবে। ধুসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের আর ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বহন করে নিয়ে যায় ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন।
উল্লেখ্য, পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪২টি খুঁটির মধ্যে এ পর্যন্ত ২৯টি খুঁটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৯০টি পাইল স্থাপন হয়ে গেছে এবং ৪১টি স্প্যানের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৩টি স্প্যান বসেছে।
মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
Comments