দ. আফ্রিকার বিপক্ষে ২০৩ রানেই শেষ শ্রীলঙ্কা
নানা জটিল সমীকরণের মাঝে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন এখনও টিকে আছে শ্রীলঙ্কার। আগেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিতলে বেশ উজ্জ্বল হবে সম্ভাবনা। সে লক্ষ্য নিয়ে নামলেও ম্যাচের মাঝপথে স্বস্তিতে থাকতে পারছে না দলটি। প্রোটিয়া পেসারদের দাপটে কোনোক্রমে দুইশো পেরিয়েই গুটিয়ে গেছে তারা।
শুক্রবার (২৮ জুন) চেস্টার-লি-স্ট্রিটে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯.৩ ওভারে ২০৩ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাদের আট ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পৌঁছালেও কেউই ৩০ এর বেশি স্কোর করতে পারেননি। তাতেই অল্প রানে আটকে যেতে হয় দলটিকে। বিপরীতে দক্ষিণ আফ্রিকার গতি তারকারা আগুন ঝরান। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও ক্রিস মরিস নেন তিনটি করে উইকেট। কাগিসো রাবাদার ঝুলিতে জমা পড়ে দুই উইকেট।
ইনিংসের প্রথম বলেই জোর ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। হারায় অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নের উইকেট। কাগিসো রাবাদার লাফিয়ে ওঠা বল তার ব্যাটের উপরের দিকের অংশ ছুঁয়ে জমা পড়ে প্রোটিয়া দলনেতা ফ্যাফ দু প্লেসির হাতে। রানের খাতা খোলার আগে উইকেট হারালেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে জেঁকে বসতে দেননি কুসল পেরেরা ও আভিস্কা ফার্নান্দো। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন তারা। গড়েন ৫৭ বলে ৬৭ রানের জুটি।
এরপরই ছন্দপতন ঘটে লঙ্কানদের। ১১ বল আর ৫ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন উইকেটে মানিয়ে নিয়ে দারুণ খেলতে থাকা কুসল পেরেরা ও আভিস্কা। দুজনই খেলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস। দুজনকেই ফেরান ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। এই দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর পথ হারায় শ্রীলঙ্কা। প্রতিপক্ষের বোলারদের দাপটে নিয়মিত বিরতিতে হারাতে থাকে উইকেট। তাই তাদের ছোট ছোট জুটিগুলো বড় হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মাথাব্যথার কারণ হতে পারেনি।
চতুর্থ উইকেটে কুসল মেন্ডিস আর আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে জয়ের পুঁজি পাইয়ে দেওয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ মিলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা চালান। কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারেননি তারা। ম্যাথিউজ ফেরেন ক্রিস মরিসের বলে বোল্ড হয়ে। কুসল মেন্ডিসকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন প্রিটোরিয়াস।
এরপর জুটি গড়ার ইঙ্গিত ছিল ধনঞ্জয়া ও ডি সিলভা জীবন মেন্ডিসের ব্যাটেও। বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে সেই চেষ্টায় জল ঢেলে দেন দু প্লেসি। জেপি ডুমিনি আক্রমণে আসার পর প্রথম বলেই রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন ধনঞ্জয়া।
ফের আরেকটি চেষ্টা। এবারে জুটি বাঁধেন জীবন ও থিসারা পেরেরা। ফের একই পরিণতি। অল্প দূর গিয়েই শেষ। জীবনকে আউট করেন মরিস। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে থিসারা সাজঘরে ফেরেন আন্দিল ফেলুকভায়োর শিকার হয়ে।
আগের সাত সতীর্থের মতো দুই অঙ্কে পৌঁছানো ইসুরু উদানাকে মাঠের বাইরে পাঠাতে নিজের বলে নিজেই ফিরতি ক্যাচ নেন রাবাদা। আর লাসিথ মালিঙ্গাকে দলনেতা দু প্লেসির ক্যাচ বানিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে গুটিয়ে দেন মরিস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ২০৩ (৪৯.৩ ওভারে) (করুনারত্নে ০, কুসল পেরেরা ৩০, আভিস্কা ৩০, কুসল মেন্ডিস ২৩, ম্যাথিউজ ১১, ধনঞ্জয়া ২৪, জীবন ১৮, থিসারা ২১, উদানা ১৭, লাকমল ৫*, মালিঙ্গা ৪; রাবাদা ২/৩৬, মরিস ৩/৪৬, প্রিটোরিয়াস ৩/২৫, ফেলুকভায়ো ১/৩৮, তাহির ০/৩৬, ডুমিনি ১/১৫)।
Comments