বড় হারে অপেক্ষা বাড়ল নিউজিল্যান্ডের
বোলারদের দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অসিদের লক্ষ্যটা খুব বড় হয়নি। কিন্তু সে লক্ষ্যও বিশাল হয়ে দাঁড়াল ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিতে না পারায়। অসি বোলারদের তোপে উল্টো নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। ৮৬ রানের বিশাল জয় পেয়েছে তারা। ফলে সেমি-ফাইনালের টিকেটের অপেক্ষা বাড়ল নিউজিল্যান্ডের। অন্যদিকে দারুণ এ জয়ে শীর্ষস্থান মজবুদ করল অস্ট্রেলিয়া।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা খারাপ হয়নি নিউজিল্যান্ডের। ওপেনিং জুটিতে আসে ২৯ রান। এরপর দ্রুত দুই ওপেনার আউট হলেও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলরের জুটিতে এক সময় তাদের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৯৭ রান। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই উইকেট হারানোর মিছিলে যোগ দেয় কিউইরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৪৪ বল বাকী থাকতেই ১৫৭ রানে গুটিয়ে যায় দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন উইলিয়ামসন। টেইলরের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ২৬ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নেন স্টার্ক। চলতি আসরে এটা তার দ্বিতীয় ফাইফার। এছাড়া ২টি উইকেট পেয়েছেন জেসন বেহরেনডর্ফ।
টসটা এদিন জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাটিংয়ে নামা দলটির দুই ওপেনারই এদিন ব্যর্থ হন। অথচ টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন তারা। শুধু তাই নয় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ফলে দলীয় ৯২ রানেই টপ অর্ডারের ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে খাওয়াজার সঙ্গে দলের হাল ধরেন ক্যারি। গড়েন ১০৭ রানের জুটি। এরপর ক্যারি আউট হলে প্যাট কামিন্সকে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েছিলেন খাওয়াজা। কিন্তু শেষ দিকে আর কেউ দলের হাল ধরতে না পারায় ৯ উইকেটে ২৪৩ রানের বেশি করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন খাওয়াজা। ১২৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। তবে ৭২ বলে ৭১ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলেন ক্যারি।
এদিন শুরু থেকেই দারুণ নিয়ন্ত্রিত বল করেন কিউই পেসাররা। বিশেষ করে ট্রেন্ট বোল্ট। চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক তুলে নেন এ পেসার। ৫০তম ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে যথাক্রমে খাওয়াজা, মিচেল স্টার্ক ও জেসন বেহরেনডর্ফকে তুলে নেন তিনি। এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ভারতের মোহাম্মদ শামি। শেষ পর্যন্ত ৫১ রানের খরচায় ৪টি উইকেট তুলে নেন বোল্ট। এছাড়া লোকি ফার্গুসন ও জেমস নিশাম ২টি উইকেট পান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৪৯.৫ ওভারে ২৪৩/৯ (ওয়ার্নার ১৬, ফিঞ্চ ৮, খাওয়াজা ৮৮, স্মিথ ৫, স্টয়নিস ৫, ম্যাক্সওয়েল ১, ক্যারি ৭১, কামিন্স ২৩*, স্টার্ক ০, বেহরেনডর্ফ ০, লাওন ০*; বোল্ট ৪/৫১, গ্রান্ডহোম ০/২৯, ফার্গুসন ২/৪৯, শোধি ০/৩৫, নিশাম ২/২৮, স্যান্টনার ০/২৩, উইলিয়ামসন ১/২৫)।
নিউজিল্যান্ড: ৪৩.৪ ওভারে ১৫৭ (গাপটিল ২০, নিকোলস ৮, উইলিয়ামসন ৪০, টেইলর ৩০, লাথাম ১৪, গ্রান্ডহোম ০, নিশাম ৯, স্যান্টনার ১২, শোধি ৫, ফার্গুসন ০, বোল্ট ২*; বেহরেনডর্ফ ২/৩১, স্টার্ক ৫/২৬, কামিন্স ১/১৪, লাওন ১/৩৬, স্মিথ ১/৬, ফিঞ্চ ০/৭, স্টয়নিস ০/১২, ম্যাক্সওয়েল ০/১৮)।
ফলফল: অস্ট্রেলিয়া ৮৬ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অ্যালেক্স ক্যারি (অস্ট্রেলিয়া)।
Comments