চেনা মাঠের সুবিধা কাজে লাগাতে চায় ভারত
ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার পর একদিনের বিরতি। তার পরের দিন ফের মাঠে নামছে ভারত। এবারে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। আগামীকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) খেলা হবে একই মাঠে, আগের উইকেটেই। তাছাড়া ম্যাচ খেলে এজবাস্টনের কিম্ভূতকিমাকার আকৃতির সঙ্গেও বেশ পরিচিত হয়ে গেছে ভারত। এই বিষয়গুলো বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদেরকে বাড়তি সুবিধা দেবে বলে মনে করছেন ভারতের ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার।
এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবারের আসরের প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে ভারত। ৫ উইকেট হাতে রেখে দলটি ম্যাচ হেরেছে ৩১ রানের ব্যবধানে। যদিও ওপেনার রোহিত শর্মা ও অধিনায়ক বিরাট কোহলির ব্যাটে চড়ে জয়ের ভিত পেয়ে গিয়েছিল তারা। কিন্তু লক্ষ্য তাড়ায় শেষ দিকে ঝড় তুলতে পারেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি-কেদার যাদবরা। ইংল্যান্ডের সাফল্যকেও খাটো করে দেখার উপায় নেই। ‘ডেথ ওভারে’ দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তাদের পেসাররা।
ইনিংসের শেষ ভাগে ভারতের ঢিমেতালে ব্যাটিং নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সেই তালিকায় আছেন সৌরভ গাঙ্গুলি, নাসের হুসেইন, ওয়াকার ইউনুসরা। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং পারফরম্যান্সে যে কমতি ছিল, তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে চান বাঙ্গার, ‘প্রতিটি দলই আলাদা। আমরা নতুন করে আবার শুরু করব এবং পুনরায় যাচাই করে দেখব এই ম্যাচে (বাংলাদেশের বিপক্ষে) আমরা কী কী অর্জন করতে পারব অথবা পারব না। আমরা সেখান থেকে এগিয়ে যাব। এটা একটা নতুন ম্যাচ।’
এজবাস্টনের মাঠ একেক দিকে একেক রকম। একপাশে বাউন্ডারি সর্বোচ্চ ৮২ মিটার পর্যন্ত। আরেক দিকে সর্বনিম্ন ৫৯ মিটারের বাউন্ডারি রয়েছে। এই ছোট বাউন্ডারির সঙ্গে আবার রয়েছে রান-বান্ধব ফ্ল্যাট উইকেট। সেই উইকেটও ম্যাচের শেষ দিকে বেশ ধীর গতির হয়ে যায়।
এ নিয়ে ভারতের জার্সিতে ১২ টেস্ট ও ১৫ ওয়ানডে খেলা বাঙ্গার বলেন, ‘একই উইকেটে খেলা হবে। তাই, উইকেট কেমন আচরণ করবে সে বিষয়ে আমাদের কিছুটা ধারণা থাকছে। আর মাঠের আকারটা কেমন, তাও আমাদের জানা থাকছে। আমরা এই সুবিধাগুলো কাজে লাগাব এবং সর্বোচ্চটা পেতে চেষ্টা করব।’
Comments