ভারতের কাছে হেরে সেমির স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের

এক প্রান্তে লড়াই করছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দারুণ ব্যাট করছিলেন। কিন্তু শেষ দিকে দলের কোনো ব্যাটসম্যানই সঙ্গ দিতে না পারায় হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশকে। ১২ বল আগেই ২৮৬ রানে গুটিয়ে গেল টাইগাররা। ফলে ২৮ রানের হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে, এ জয়ে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত হলো ভারতের।
ছবি: রয়টার্স

এক প্রান্তে লড়াই করছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দারুণ ব্যাট করছিলেন। কিন্তু শেষ দিকে দলের কোনো ব্যাটসম্যানই সঙ্গ দিতে না পারায় হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশকে। ১২ বল আগেই ২৮৬ রানে গুটিয়ে গেল টাইগাররা। ফলে ২৮ রানের হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে, এ জয়ে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত হলো ভারতের।

মূলত বড় কোন জুটি গড়তে না পারায় হারতে হলো টাইগারদের। সঙ্গে উইকেট বিসর্জনের গল্প তো রয়েছেই। একমাত্র পঞ্চাশ রানের জুটিটি এসেছে সপ্তম উইকেটে। তবে সাইফউদ্দিনের আগে এক প্রান্তে দারুণ লড়াই করেছিলেন সাকিব আল হাসান। তাকেও সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ।

শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ৩৮ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থেকেছেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু তার লড়াই কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান। ভারতের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ৫৫ রানের খরচায় উইকেট পেয়েছেন ৪টি। ৬০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ৫০ ওভারে ৩১৪/৯ (রাহুল ৭৭, রোহিত ১০৪, কোহলি ২৬, পান্ত ৪৮, হার্দিক ০, ধোনি ৩৫, কার্তিক ৮, ভুবনেশ্বর ২, শামি ১, বুমরাহ ০*; মাশরাফি ০/৩৬, সাইফউদ্দিন ০/৫৯, মোস্তাফিজ ৫/৫৯, সাকিব ১/৪১, মোসাদ্দেক ০/৩২, রুবেল ১/৪৮, সৌম্য ১/৩৩)।

বাংলাদেশ: ৪৮ ওভারে ২৮৬ (তামিম ২২, সৌম্য ৩৩, সাকিব ৬৬,  মুশফিক ২৪, লিটন ২২, মোসাদ্দেক ৩, সাব্বির ৩৬, সাইফউদ্দিন ৫১*, মাশরাফি ৮, রুবেল ৯, মোস্তাফিজ ০; ভুবনেশ্বর ১/৫১, বুমরাহ ৪/৫৫, শামি ১/৬৮, চাহাল ৫০/১, হার্দিক ৬০/৩)।

ফলাফল: ভারত ২৮ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রোহিত শর্মা (ভারত)।

ফিরে গেলেন রুবেল

সাইফউদ্দিনকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন রুবেল। তবে জাসপ্রিত বুমরাহর বল পিছিয়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে গেছেন তিনি। ১১ বলে ১টি চারের সাহায্যে ৯ রান করেছেন তিনি।

চাপের মুখে সাইফউদ্দিনের ফিফটি

দলের সেরা সব ব্যাটসম্যানই বিদায় নিয়েছেন। লেজও বেড়িয়ে এসেছে। একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে বাংলাদেশ দলের আশা জিইয়ে রেখেছেন সাইফউদ্দিন। এর মধ্যেই করেছেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। মাত্র ৩৭ বলে এসেছে তার ফিফটি। ৯টি চারের সাহায্যে রা ন করেছেন তিনি।  

টিকলেন না মাশরাফি

দলের বিপর্যয়ে অধিনায়কের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করেছিল দল। ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম বলে দারুণ একটি ছক্কাও মেরেছিলেন মাশরাফি। কিন্তু পরের বলে আরও একটি মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি। ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক ধোনির তালুবন্দি হন তিনি। ৫ বলে ৮ রান করেছেন অধিনায়ক। তবে এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে আশা জিইয়ে রেখেছেন সাইফউদ্দিন।

৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৬৪ রান। ৩৮ রানে ব্যাট করছেন সাইফউদ্দিন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন রুবেল হোসেন।  

আশা জাগিয়ে ফিরে গেলেন সাব্বির

টপ অর্ডারের ছয় উইকেট হারানোর পর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে দলের হাল ধরেছিলেন সাব্বির রহমান। দারুণ ব্যাট করে বাংলাদেশের স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু তিনিও আউট হয়েছে আরও একটি স্লোয়ার বুঝতে না পেরে। জাসপ্রিত বুমবাহর স্লোয়ার বল বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৩৬ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩৬ রান করেছেন তিনি।

৪৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৫১ রান। সাইফউদ্দিন ৩৩ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।  

সাব্বির-সাইফউদ্দিন জুটিতে পঞ্চাশ

ছয় ছয় জন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন। অথচ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চাশ রানের জুটিটি এলো সপ্তম উইকেট জুটিতে। দলের হাল ধরেছেন সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মাত্র ৪৩ বলে এসেছে জুটির পঞ্চাশ রান। তাতে সাব্বিরের অবদান ২৭ ও সাইফউদ্দিনের ২০ রান।

৪২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৪০ রান। সাব্বির ৩৪ ও সাইফউদ্দিন ২৯ রানে ব্যাট করছেন। জিততে হলে ৪৮ বলে ৭৫ রান করতে হবে টাইগারদের।  

বাংলাদেশের দলীয় দুইশ

মাত্র ১৭ রানের ব্যবধানে দলের সেরা তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বড় চাপে বাংলাদেশ। তবে সপ্তম উইকেটে ইনিংস মেরামতের কাজ মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে নিয়ে করছেন সাব্বির রহমান। এর মধ্যেই দলীয় দ্বিশতক পূর্ণ করেছে বাংলাদেশ। ৩৭.৩ ওভারে (২২৫ বলে) আসে বাংলাদেশের দলীয় শতরান। প্রথম একশ রান এসেছিল ১১৭ বলে। ভারত দুইশ রান পূরণ করেছিল ২০৪ বলে।

৩৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০৮ রান। সাব্বির ২৪ ও সাইফউদ্দিন ৯ রানে ব্যাট করছেন।  

সাকিবের বিদায়ে বড় চাপে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের আশা ভরসা হয়ে টিকে ছিলেন সাকিব আল হাসান। খেলছিলেনও দারুণ। দেখে শুনে খেলে মাঝে মধ্যে বাউন্ডারি মেরে রানের গতি সচলও রাখছিলেন। কিন্তু তার প্রতিরোধ শেষ হলো হার্দিক পান্ডিয়ার স্লোয়ারে। ঠিক ভাবে খেলতে না পারায় এক্সট্রা কভারে সহজ ক্যাচ তুলে দেন দিনেশ কার্তিকের হাতে। ৭৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে করেছেন ৬৬ রান।

৩৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৯ রান। সাব্বির রহমান ৫ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।  

টিকলেন না মোসাদ্দেকও

এক প্রান্তে সাকিব আল হাসান ধরে খেলছেন। রানের গতিও সচল রেখেছেন। কিন্তু অন্য প্রান্তে তাকে সঙ্গ দিতে পারছেন না কেউ। ফিরে গেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। জাসপ্রিত বুমরাহর অফ স্টাম্পের বাইরে রাখা বলে কাট করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ফলে বড় চাপে পড়েছে টাইগাররা। ৭ বলে ৩ রান করেছেন মোসাদ্দেক।

৩৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭৭ রান। ৬৫ রানে ব্যাট করছেন সাকিব। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন সাব্বির রহমান।  

পান্ডিয়ার বলে ফিরলেন লিটন

এক বল আগেই হার্দিক পান্ডিয়াকে দারুণ এক ছক্কা হাঁকালেন লিটন কুমার দাস। উইকেটে বেশ সেট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আবারও হতাশ করলেন এ ব্যাটসম্যান। ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না। পান্ডিয়ার শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছেন দিনেশ কার্তিকের হাতে। তাতে ভাঙে ৪১ রানের জুটি। ২৪ বলে ২২ রান করেছেন লিটন।

৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৬৩ রান। সাকিব ব্যাট করছেন ৫৭ রান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মোসাদ্দেক হোসেন।

সাকিবের হাফসেঞ্চুরি

বড় লক্ষ্য তাড়ায় ১২১ রানেই টপ অর্ডারের ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এরপর লিটনকে নিয়ে দলের ইনিংস মেরামতের কাজ করছেন সাকিব আল হাসান। এক প্রান্ত ধরে রেখে এর মধ্যে নিজের হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। ৫৮ বলে ফিফটি স্পর্শ করেছেন সাকিব। এ রান করতে ৫টি চার মেরেছেন তিনি।

২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪৭ রান। সাকিব ৫০ ও লিটন ১৪ রানে ব্যাট করছেন।  

চাহালের শিকার হলেন মুশফিক

যুজবেন্দ্র চাহালের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মোহাম্মদ শামিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মুশফিকুর রহিম। তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ২৪ রান। ২৩তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১২১ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ।

মুশফিকের বিদায়ে ভাঙল সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার ৪৭ বলে ৪৭ রানের জুটি। উইকেটে ৪৬ বলে ৩৯ রান করা সাকিবের সঙ্গী মাত্রই নামা লিটন দাস।

বাংলাদেশের দলীয় একশ

দলীয় ৭৪ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সে চাপ থেকে দলকে উত্তরণের চেষ্টা করছেন দেশ সেরা দুই ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। এর মধ্যেই এসেছে দলীয় শতরান। ১৯.৩ ওভারে (১১৭ বলে) আসে দলের একশ। প্রথম পঞ্চাশ টাইগাররা করেছিল ৬৭ বলে। ভারত তাদের প্রথম শতরান করেছিল ১০৫ বলে।

২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৪ রান। সাকিব ২৯ ও মুশফিক ১৭ রানে ব্যাট করছেন।

ভুল শটে আউট হলেন সৌম্য

ছেড়ে দিলে হয়তো ওয়াইড হতেও পারতো। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল পা না বাড়িয়ে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলার খেসারৎ দিলেন সৌম্য সরকার। অথচ নিজের স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিং করে বেশ দেখে শুনেই খেলছিলেন। হাত খোলার চেষ্টা করছিলেন ধীরে ধীরে। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়ার বলে এক্সট্রা কভারে ধরে পড়লেন অধিনায়ক বিরাট কোহলির হাতে। ৩৮ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩৩ রান করেছেন এ ওপেনার।

১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৫ রান। ১৬ রানে ব্যাট করছেন সাকিব। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম।  

বাংলাদেশের দলীয় পঞ্চাশ

পাওয়ার প্লের ব্যবহারটা খারাপ করেনি বাংলাদেশ। ৪০ রান তুলে হারিয়েছেন তামিম ইকবালের উইকেট। এরপর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন সৌম্য সরকার। এর মধ্যেই দলীয় পঞ্চাশ রান পার করেছে বাংলাদেশ। ১১.১ ওভারে (৬৭ বলে) দলীয় ফিফটি স্পর্শ করেছে দলটি। ভারত প্রথম পঞ্চাশ রান করেছিল ৫০ বলে।

১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫৯ রান। সৌম্য ২২ ও সাকিব ১৩ রানে ব্যাট করছেন।  

আশা জাগিয়ে ফিরে গেলেন তামিম

কিছুটা ধীর গতিতে খেললেও শুরুটা খারাপ করেনি বাংলাদেশ। ভালো শুরুর পথেই ছিল দলটি। কিন্তু আশা জাগিয়েও ফিরে গিয়েছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা মোহাম্মদ শামির বল খোঁচা মারতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান এ ওপেনার। ৩১ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ২২ রান করেছেন তামিম।

১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪০ রান। ১৬ রানে ব্যাট করছেন সৌম্য। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন সাকিব আল হাসান।  

বাংলাদেশের সাবধানী সূচনা

লক্ষ্যটা বড় হলেও শুরুটা বেশ সাবধানতার সঙ্গেই করেছে বাংলাদেশ। দেখে শুনে ব্যাট করে এগিয়ে যাচ্ছে টাইগাররা। তবে তামিম ইকবাল খেলছেন নিজের মতোই। দেখে শুনে মাঝে মধ্যে বাউন্ডারি মারছেন তিনি। তবে নিজেকে বেশ খোলসে আটকে রেখেছেন সৌম্য।

৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৪ রান। তামিম ১৬ ও সৌম্য ৭ রানে ব্যাট করছেন।   

বাংলাদেশকে ৩১৫ রানের লক্ষ্য দিল ভারত

দিনের শুরুটা হতে পারতো দারুণ। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা রোহিত শর্মাকে ফেরাতে পারতেন ব্যক্তিগত ৯ রানেই। হয়নি তামিম ইকবাল সহজ ক্যাচ ফেলেছেন বলে। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে করলেন বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি। সঙ্গে লোকেশ রাহুলের ফিফটি। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় ভারত। শেষে রিশাব পান্ত ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩১৪ রানের বড় সংগ্রহই পেয়েছে ভারত।

মূলত বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমানই। ৩৯তম ওভারে বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়াকে ফিরিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপর তুলে নিয়েছেন আরও তিনটি উইকেট। বিশ্বকাপে প্রথম বাংলাদেশী পেসার হিসেবে পাঁচ উইকেট পেয়েছেন তিনি। দারুণ বোলিং করেছেন সাকিবও। ১টি উইকেট পেলেও নিয়ন্ত্রিত বল করেছেন তিনি।

চলতি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড বাংলাদেশেরই। উইন্ডিজের করা ৩২১ রানের লক্ষ্য তারা পার করেছিল ৫১ বল হাতে রেখে। তবে ভারতের দুর্দান্ত বোলিং লাইন আপের বিপক্ষে কাজটা কিছুটা কঠিন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ৫০ ওভারে ৩১৪/৯ (রাহুল ৭৭, রোহিত ১০৪, কোহলি ২৬, পান্ত ৪৮, পান্ডিয়া ০, ধোনি ৩৫, কার্তিক ৮, ভুবনেশ্বর ২, শামি ১, বুমরাহ ০*; মাশরাফি ০/৩৬, সাইফউদ্দিন ০/৫৯, মোস্তাফিজ ৫/৫৯, সাকিব ১/৪১, মোসাদ্দেক ০/৩২, রুবেল ১/৪৮, সৌম্য ১/৩৩)। 

ধোনিকে ফেরালেন মোস্তাফিজ

রানের গতি বাড়াতে চেয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাই মোস্তাফিজের করা শেষ ওভারের প্রথম দুটি বলে সিঙ্গেল নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নেননি। তৃতীয় বলে হুক করতে গেলে আকাশে উঠিয়ে দেন তিনি। লংঅন থেকে লংঅফের দিকে অনেকটা দৌড়ে সহজ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ৩৩ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩৫ রান করেছেন ধোনি।

কার্তিককে ফেরালেন মোস্তাফিজ

নিদাহাস ট্রফিতে শেষ দিকে ঝড় তুলে বাংলাদেশকে কাঁদিয়েছিলেন দিনেশ কার্তিক। এমন কিছুর পুনরাবৃত্তি করতে এদিন কেদার যাদবের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তবে তাকে হতাশ করেছেন মোস্তাফিজ। তার বলে পুল করতে গিয়ে লংঅনে মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে ধরা পড়েছেন কার্তিক। ৯ বলে ১টি চারের সাহায্যে ৮ রান করেছেন তিনি।

একই ওভারে দলীয় তিনশ রানও তুলে নিয়েছে ভারত। ৪৭.৫ ওভারে (২৮৮ বলে) এলো দলের তিনশ। প্রথম একশ রান এসেছিল ১০৫ বলে। দুইশ রান করতে বল খেলেছিল ২০৪টি।

৪৮ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩০০ রান। ২৪ রানে ব্যাট করছেন ধোনি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন ভুবনেশ্বর কুমার।

পান্তকে ফেরালেন সাকিব

উইকেটে নেমেই হাত খুলে ব্যাটিং করছিলেন রিশাব পান্ত। ভারতের রানের গতি বাড়িয়ে ৪১ বলেই করেছেন ৪৮ রান। অন্যদিকে শুরু থেকেই দারুণ নিয়ন্ত্রিত বল করলেও উইকেট পাচ্ছিলেন না সাকিব আল হাসান। শেষ পর্যন্ত তরুণ পান্তকেই ফিরিয়েছেন তিনি। তার বলে সুইপ করতে গেলে স্কয়ার লেগে ধরা পড়েছেন মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে। অবশ্য প্রথম দফায় ধরতে পারেননি মোসাদ্দেক। দ্বিতীয় দফা আঙুলে আটকে থাকে বল।

৪৫ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৭৯ রান। ধোনি ১১ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন দিনেশ কার্তিক।

পান্ডিয়াকেও ফেরালেন মোস্তাফিজ

ওভারের দ্বিতীয় বলে ফিরিয়েছেন বর্তমান সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলিকে। তিন বল এবার ফেরালেন বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান হার্দিক পান্ডিয়াকে। উইকেটে নেমেই হাত খুলে খেলার বেশ নামডাক রয়েছে পান্ডিয়ার। তবে কোন ক্ষতি করার আগেই স্লিপে সৌম্য সরকারের ক্যাচে পরিণত করেছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।  

৩৯ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৩৭ রান। ২৩ রানে ব্যাট করছেন পান্ত। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

কোহলির ক্যাচ ধরলেন রুবেল

বিরাট কোহলির সঙ্গে রুবেল হোসেনের দ্বৈরথটা বেশ পুরনো। এদিন ম্যাচে নামার আগে এ নিয়ে আলোচনাও চলেছে। তবে ভারতীয় অধিনায়কের উইকেট পাননি রুবেল। তবে ক্যাচ ধরে নিয়েছেন তিনি। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে পুল করতে গেলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন কোহলি। ২৭ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ২৬ রান করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।

ভারতের দলীয় দুইশ

দুই ওপেনারের সৌজন্যে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। তবে শেষ পর্যন্ত সে দুই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন টাইগাররা। তবে বড় সংগ্রহের পথেই এগিয়ে যাচ্ছে দলটি। এর মধ্যে দলীয় দুইশ রান পার করেছে তারা। মোসাদ্দেক হোসেনের করা ৩৪তম ওভারে ছক্কা মেরে দলীয় দ্বিশতক পূর্ণ করেন রিশাব পান্ত। ৩৩.৫ ওভারে (২০৪ বলে) আসে দলের দুইশ। প্রথম একশ রান এসেছিল ১০৫ বলে।

৩৬ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২১৭ রান। কোহলি ১৮ ও পান্ত ১১ রানে ব্যাট করছেন। 

রাহুলকে ফেরালেন রুবেল

রেকর্ড গড়া ওপেনিং জুটি বেশ ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। এ জুটি ভেঙেছেন সৌম্য। তবে এরপর ভারতীয় শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হেনেছেন রুবেল। ফিরিয়েছেন আরেক সেট ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুলকে। রুবেল হোসেনের স্লোয়ার অফকাটার খেলতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে। তবে আউট হওয়ার আগে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। ৯২ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিন ই।

৩৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৯৬ রান। বিরাট কোহলি ৯ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন  রিশাব পান্ত।

রেকর্ড গড়েই ফিরলেন রোহিত

ব্যক্তিগত ৯ রানেই ফিরতে পারতেন। জীবন পেয়ে সে রানটা টেনে নিয়ে গেলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে। এরপর অবশ্য আউট হয়েছেন সৌম্য সরকারের বলে। সৌম্যর অফকাটার ঠিকভাবে খেলতে না পারায় ক্যাচ উঠিয়ে দেন এক্সট্রা কভারে। সে ক্যাচ লুফে নিয়েছেন লিটন দাস। মাত্র ৯০ বলেই শতক স্পর্শ করা শেষ পর্যন্ত ১০৪ রান করেছেন। ৯২ বলে ইনিংস সাজিয়েছেন ৬টি করে চার ও ছক্কায়।

আউট হওয়ার আগে বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির রেকর্ড গড়েছেন রোহিত। এদিন ১৮০ রানের জুটি গড়েছেন রাহুলের সঙ্গে। এর আগে ২০১৫ সালে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তার এবং শেখর ধাওয়ানের করা ১৭৪ রানের জুটিটি ছিল সর্বোচ্চ। এছাড়া চলতি আসরে এটা তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। যা এক আসরে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড স্পর্শ করলেন তিনি। ২০১৫ সালে টানা চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন সাঙ্গাকারা। বিশ্বকাপে রোহিতের অবশ্য মোট ৫টি সেঞ্চুরি। তার আগে আছেন স্বদেশী সচীন টেন্ডুলকার। বিশ্বকাপে ৬টি সেঞ্চুরি করেছেন এ কিংবদন্তি। 

৩০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৮১ রান। রাহুল ৭২ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

হাফসেঞ্চুরি পেলেন রাহুলও

রোহিত শর্মার পর হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লোকেশ রাহুলও। শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাট করা এ ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়েছেন ৫৭ বলে। তাতে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছক্কার মার। এ দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ওপেনিং জুটিতেই বড় সংগ্রহের পথে ছুটছে ভারত।

২১ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১২৬ রান। রোহিত ৬৪ ও রাহুল ৫৮ রানে ব্যাট করছেন।

ভারতের দলীয় শতক

দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনাই পেয়েছে ভারত। টাইগার বোলারদের ভুগিয়ে সাবলীল ব্যাট করে চলেছেন তারা। এর মধ্যেই তুলে নিয়েছেন দলীয় সেঞ্চুরি। চলতি বিশ্বকাপে ভারতের ওপেনিং জুটিতে এটা চতুর্থ শতরনের জুটি। ১৭.২ ওভারে (১০৫ বল) এসেছে দলের শতরান। প্রথম পঞ্চাশ রান এসেছিল ৫০ বলে।

১৮ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১০৫ রান। রোহিত ৫৭ ও রাহুল ৪৪ রানে ব্যাট করছেন।

রোহিতের হাফসেঞ্চুরি

ফিরে যেতে পারতেন ব্যক্তিগত ৯ রানে। কিন্তু সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েও জীবন পেয়েছেন তামিম ইকবালের ভুলে। আর তার ভোগান্তিটা বেশ ভালো ভাবেই পোহাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মধ্যেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এ ব্যাটসম্যান। ৪৫ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় নিজের ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। এর আগেও তিনটি ম্যাচে জীবন পেয়েছেন তিনি। তার দুটিতেই করেছেন সেঞ্চুরি। অপরটিতে হাফসেঞ্চুরি।

১৬ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৯৭ রান। রোহিত ৫২ ও রাহুল ৪১ রানে ব্যাট করছেন।

ভারতের দলীয় হাফসেঞ্চুরি

শুরুতে রোহিত শর্মাকে জীবন দেওয়াটা বেশ ভারি পড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের। এর মধ্যেই হাত খুলে খেলতে শুরু করেছেন তিনি। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুলও। তাতে ৮.১ ওভারে (৫০ বলে) এসেছে দলীয় হাফসেঞ্চুরি। পাওয়ার প্লেটাও কাটিয়ে দিয়েছে দারুণ। কোন উইকেট না হারিয়ে তুলেছে ৬৯ রান।

১০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬৯ রান। রোহিত ৩৮ ও রাহুল ২৮ রানে ব্যাট করছেন।

রোহিতকে জীবন দিলেন তামিম

আসর জুড়েই দুর্দান্ত ছন্দে আছেন রোহিত শর্মা। করেছেন তিন তিনটি সেঞ্চুরি। সেই ব্যাটসম্যানকে সহজ জীবন দিয়েছেন তামিম ইকবাল। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে মিড উইকেটে তার সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন তিনি। জীবন পেয়েই চড়াও হয়েছেন। জীবন পাওয়ার সময় ভারতের দলীয় রান ছিল ২১ এবং রোহিতের ৯।

এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশকে কতটা ভোগান তিনি। চলতি আসরে এর আগে তিনটি ম্যাচে জীবন পেয়েছিলেন তিনি। সে তিন ম্যাচের ২টিতে করেছেন সেঞ্চুরি, অপরটিতে হাফসেঞ্চুরি।

মাশরাফি বিন মুর্তজার করা প্রথম ওভারে বেশ আগ্রাসী ভাব দেখিয়েছিলেন রোহিত। এক ছক্কায় সে ওভারে রান আসে ১০। তবে পরের ওভার থেকেই আবার দেখে শুনে খেলেছেন দুই ওপেনারই। কিন্তু তাদের চাপে ফেলে দেওয়ার সহজ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারলো না টাইগাররা। জীবন পাওয়ার পর হাত খুলে খেলছেন রোহিত।

৭ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩৬ রান। রোহিত ২৩ ও লোকেশ রাহুল ১১ রানে ব্যাট করছেন।

দুটি পরিবর্তন ভারতীয় একাদশেও

বাংলাদেশের বিপক্ষে পূর্বের সাফল্যের জেনেই দিনেশ কার্তিককে একাদশে ঢুকিয়েছে ভারত। অফফর্মের কারণে বাদ পড়েছেন কেদার যাদব। এছাড়াও চোট কাটিয়ে ফিরেছেন ভুবনেশ্বর কুমার। তবে পেসার কমায়নি দলটি, চায়নাম্যান কুলদিপ জাদবের জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন তিনি। বাংলাদেশের মতো চার পেসার নিয়েই মাঠে নেমেছে তারা।

ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, রিশাব পান্ত, মহেন্দ্র সিং ধোনি, দিনেশ কার্তিক, হার্দিক পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার, যুজবেন্দ্র চাহাল, মোহাম্মদ শামি ও জাসপ্রিত বুমরাহ।

নেই মাহমুদউল্লাহ, বাংলাদেশের একাদশে দুই পরিবর্তন

আফগানিস্তানের বিপক্ষে চোট পেয়েছিলেন দলের অন্যতম সেরা ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ। চোট কাটিয়ে আগের দিনই অনুশীলনে যোগ দিলেও শেষ পর্যন্ত ফিট হতে পারেননি তিনি। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন সাব্বির রহমান। এছাড়া এছাড়া স্পিনে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্যের কথা ভেবে একজন বাড়তি পেসার নেওয়ার চিন্তা একাদশে ফিরিয়েছে রুবেল হোসেনকে। সে কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। চার পেসার নিয়ে খেলছে দলটি।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে ভারত

এজবাস্টনে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। 'মাস্ট উইন' এ ম্যাচে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। টস হেরে গিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি টস জিতে বেছে নিয়েছেন ব্যাটিং। অর্থাৎ আগে ফিল্ডিং করতে হবে টাইগারদের। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হবে বেলা সাড়ে ৩টায়।

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মাশরাফিরা

জিতলে বেঁচে থাকবে আশা। হারলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন কেবল স্বপ্নই থেকে যাবে। সমীকরণটা তাই একেবারে সরল মাশরাফি বিন মর্তুজার দলের জন্য- ভারতকে হারাতে হবে। বিশ্বমঞ্চে যে কাজটা আগেও করে দেখিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ২০০৭ আসরে বিশ্বকাপে দু'দলের প্রথম দেখায় স্মরণীয় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপের লিগ পর্বের পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে রয়েছে ভারত। বিরাট কোহলিদের অর্জন ৭ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট। এ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই তারা নিশ্চিত করবে সেমিফাইনাল। অন্যদিকে, বাংলাদেশ সমান ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে পয়েন্ট তালিকার সাতে। এ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জেতার বিকল্প নেই টাইগারদের। হারলেই বেজে যাবে বিদায় ঘণ্টা।

সমীকরণটা বেশ কঠিন। ভারতকে তো হারাতে হবেই, সঙ্গে হারাতে পাকিস্তানকে। পাশাপাশি কামনা করতে হবে ইংল্যান্ডের হারেরও। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়ানোর আরেকটা সুবিধা দেখছেন মাশরাফি, 'আমি এটা ইতিবাচক হিসেবে নিচ্ছি, যদি কাল খেলে জিততে পারি। আমি প্রেফার করি কঠিন অপশনই বেটার, শুধু বিশ্বকাপ না দলকে সামনের দিকে এগিয়ে এটাই ভালো।’

Comments

The Daily Star  | English
government changed office hours

Govt office hours 9am-3pm from Sunday to Tuesday

The government offices will be open from 9:00am to 3:00pm for the next three days -- from Sunday to Tuesday -- this week, Public Administration Minister Farhad Hossain said today

1h ago