দৌড়াতে সমস্যা হওয়ায় পারলেন না মাহমুদউল্লাহ
ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা খেলতে তীব্র তাড়না অনুভব করছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যে কোনোভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে চাইছিলেন মাঠে নামতে। পেশির চোটে দুদিন আগেও হাঁটছিলেন খুঁড়িয়ে। সব সামলে ম্যাচের আগের দিন টানা ব্যাটিং অনুশীলন করে নিজেকে ঝালাই করেন। ব্যাটিংয়ে কোনো সমস্যাও অনুভব হয়নি। কিন্তু গোল বাধাল রানিং। দৌড়াতে সমস্যা হওয়ায় ম্যাচের দিন সকাল পর্যন্ত ছিল অপেক্ষা। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শেষপর্যন্ত খারাপ খবর নিয়েই মাঠে নামতে হলো বাংলাদেশকে।
ডান পায়ের পেশির চোটে মাহমুদউল্লাহ না থাকায় একাদশে ফিরেছেন সাব্বির রহমান। এবার বিশ্বকাপে তিনি আগে একটাই ম্যাচ খেলেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সে ম্যাচে কোনো রান করতে পারেননি।
মাহমুদউল্লাহর চোটের খবর আসে আফগানিস্তান ম্যাচে। সে ম্যাচে ব্যাট করতে নেমেই খোঁড়াচ্ছিলেন তিনি। আউট হওয়ার পর আর নামতে পারেননি ফিল্ডিংয়ে। তবে চোটটা তিনি ঠিক কখন পেয়েছিলেন তা পরিস্কার হওয়া যায়নি।
সাউদাম্পটন থেকে বার্মিংহাম আসার পর মাহমুদউল্লাহকে ক্র্যাচে ভর দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়। ভারত ম্যাচের আগে লম্বা বিরতি থাকায় তাকে নিয়ে আশাবাদী ছিল দল। টানা বিশ্রামে গ্রেড ওয়ান টিয়ার ইনজুরি সেরেও উঠছিল তার। ৩০ জুন বিশ্রাম শেষে বাংলাদেশ দল অনুশীলনে ফিরলে সেদিনই অনুশীলনে নামেন মাহমুদউল্লাহ। হালকা ব্যাটিং অনুশীলনে আভাস দেন সুখবরের।
ম্যাচের আগের দিন তাকে দেখা গেছে বেশ চনমনে। খেলতে নামার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। নেটে লম্বা সেশনের ব্যাটিং দেখে সাবলীল মাহমুদউল্লাহকেও পাওয়ার আশায় ছিল দল। কিন্তু ম্যাচের দিন সকালে দৌড়াতে সমস্যা হওয়ায় এমন বড় ম্যাচে আর ঝুঁকি নেওয়া যায়নি। ফিল্ডিং করতে না পারলে তাকে খেলানো যৌক্তিক মনে করেনি দল।
কাঁধের চোট নিয়ে বিশ্বকাপে আসা মাহমুদউল্লাহ করতে পারছিলেন না বোলিং। লম্বা থ্রো করতেও সমস্যা হচ্ছিল তার। এবার পেশির চোট যোগ হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাটসম্যানকে ছাড়াই বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নামতে হলো বাংলাদেশকে।
Comments