কলকাতায় তপু গাইলেন ‘এক পায়ে নূপুর’

Topu in Kolkata
১ জুলাই ২০১৯, কলকাতার সল্টলেকে আয়োজিত ‘তপু লাইভ’ সংগীতসন্ধ্যায় গান গাচ্ছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী তপু। ছবি: স্টার

কলকাতা মাতালেন বাংলাদেশর জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী তপু। ভক্ত-শ্রোতাদের সামনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সংগীত পরিবেশন করে খুশি তিনিও।

দ্য ডেইলি স্টারকে তপু বলেন, “কলকাতার শ্রোতারা খুবই সিরিয়াস। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ হয়ে গেলো সংগীতের জগতে আছি। কিন্তু, গানের জন্য এই প্রথম পা রাখা ‘সিটি অফ জয়’ কলকাতায়।

“আরেকটু আগে এই শহরে আসলে ভালো হতো” এমন অনুশোচনা থাকলেও তপু খুশি যে তারই এক ভক্ত এবং কলকাতার সংগীতশিল্পী অনুরাগ হালদারের সৌজন্যে তিনি কলকাতায় এই গান করতে পারলেন।

২০০৪ সালে গান নিয়ে প্রথম ব্যান্ড তৈরি করে গানের ভুবনে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন তপু। এরপর হৃদয়ছোঁয়া গানে তিনি মুগ্ধ করেন বাংলা ভাষার সংগীতপ্রেমীদের।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সৌজন্যে সম্প্রতি বাংলাদেশি শিল্পীরাও প্রায় সমানভাবেই জনপ্রিয় পশ্চিমবঙ্গের তরুণ প্রজন্মের কাছে।

‘এক পায়ে নূপুর’, ‘বন্ধু ভাবো কি’, ‘একটা গোপন কথা’, ‘এই কি বেশি না, সে কে?’- তপু তার জনপ্রিয় গানগুলো গেয়ে শোনালেন সল্টলেকের তরুণ প্রজন্মের শ্রোতাদের। তার গান শুনে মুগ্ধ অন্বেশ বিকাশ, অণু মিশ্রা, প্রিয়ন্নয় মিত্রদের মতো তরুণ-তরুণীরা।

অপর শিল্পী ও আয়োজক অনুরাগ হালদারও তপুকে পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন, “কলকাতার অদূরে সোদপুরে আমার বাড়ি। খুব ছোট্ট বয়স থেকেই তপুদা গান শুনছি। বলতে পারেন, গান শুনে বড় হয়েছি। সেই গানের টানেই বাংলাদেশে গিয়েছিলাম কয়েকবার তপুদার সঙ্গে দেখা করতে। শেষবার তাকে অনুরোধ করার পর তিনি রাজি হন এবং তারপরই এই আয়োজন করি আমরা।”

গতরাতে (১ জুলাই) কলকাতার আইটি হাব বলে পরিচিত সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের জনপ্রিয় রেস্তোরাঁয় সংগীত সন্ধ্যাটি যৌথভাবে আয়োজন করে স্থানীয় জনপ্রিয় শিল্পী অনুরাগ হালদার এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় জি সিরিজ।

জি সিরিজের ব্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন প্রধান মঞ্জুর আহমেদ জানান, কলকাতায় এই ধরণের আয়োজন করতে পেরে তারাও খুশি। জি সিরিজ আগামীতে আরো অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানের সমন্বয়কের ভূমিকা ছিলেন রাজর্ষি দাস। এই ধরণের অনুষ্ঠান কলকাতায় আরো করার আগ্রহের কথাও তিনি জানান।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

7h ago